নিজস্ব প্রতিবেদক:::
গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি জোরপূর্বক দখল করে জমিতে সরকারি রাস্তা ও ড্রেইন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।এমনকি জমির সত্ত্বাধিকারী আব্দুল মালিক দখলে বাঁধা প্রদান করলে স্থানীয় মেম্বারসহ প্রভাবশালী কয়েকজনের হামলায় আহত হন।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল মালিক বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান দুলালসহ ৬জনকে আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের অপর আসামিরা হলেন- মোল্লাগ্রামের মৃত আব্দুল মুতলিবের ছেলে আবুল হোসেন (৩৫),মৃত আব্দুল মছব্বিরের ছেলে শামীম আহমদ (৩৯),মৃত সিদ্দেক আলীর ছেলে আলা উদ্দিন (৫২),মৃত আসাব উদ্দিনের ছেলে ময়নুর রহমান ময়না (৪০), মৃত উমেদ উল্লাহর ছেলে ইমাম উদ্দিন (৪৭)।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়,উপজেলার হেতিমগঞ্জ মোল্লাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাড়ির ভূমিতে স্থানীয় মেম্বারসহ প্রভাবশালীরা সরকারী রাস্তা ও ড্রেইন নির্মাণ করছেন, অথচ এই জমির প্রকৃত মালিক মোল্লা গ্রামের মৃত হাজী মোহাম্মদ মউলা বক্সগং। দীর্ঘদিন থেকে মৌলা বক্সের এই জমি ব্যবহার করে গ্রামের মানুষ চলাফেরা করে আসছে, বর্তমানে এই জমিটি স্থায়ীভাবে রাস্তা নির্মাণের লক্ষ্যে স্থানীয় মেম্বারের সহযোগিতায় গ্রামের প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ এই জমি ওয়ারিশান নিয়ে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ তৃতীয় আদালত সিলেটে একটি স্বত্ব (বাটোয়ারা) মোকাদ্দমা মামলা চলছে, যাহার নং ৫৬/১৭ ইং। স্বত্ব মামলা চলমান থাকা অবস্থায় বাদীর মালিকানাধীন বাড়ির জায়গা জোর জবর দখল করে গত ১৮এপ্রিল,২০২৪ ইং সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় বিদ্যালয় সংলগ্ন বাদীর জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা ও ড্রেইন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। স্থানীয় মেম্বার মুজিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে গ্রামের প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড, কাঠের রুইল, বাঁশের লাটিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্র হাতে নিয়ে আব্দুল মালিকের জমিতে জোরপূর্বক রাস্তা ও ড্রেইন নির্মাণ করেন। তখন জমির মালিক হাজী মৌলা বক্সের পুত্র আব্দুল মালিক নির্মান কাজে বাধাঁ দিলে শুরু হয় তর্কবিতর্ক।এরপর বিবাদীগং ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি মেম্বার মুজিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে ভুক্তভোগী আব্দুল মালিকের উপর হামলা করেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল মালিক বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে ড্রেন নির্মাণ করলে আমার কোন আপত্তি থাকবেনা। কিন্তু এই কথা বলার পর স্থানীয় মেম্বারসহ উপস্থিত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ শুরু করেন।এক পর্যায়ে বিবাদীরা হাতে থাকা লোহার রড, কাঠের রুইল,বাঁশের লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি, পরে অপর প্রতিবেশীরা আমাকে উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।এরপর ঘটনার গুরুতর আহত আব্দুল মালিকের অবর্তমানে রাস্তা ও ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করে।
পরবর্তীতে আব্দুল মালিক চিকিৎসা শেষে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবগত করে গত ১৯ এপ্রিল গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন।