বিশেষ প্রতিনিধি,
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারাদেশের ন্যায় তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মৌলভীবাজারের জনজীবন। শুধু তাই নয়, রাতেও ভ্যাপসা গরমে হাঁপিয়ে উঠছেন জেলার মানুষ।
রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা ৩টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৈশাখের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে সারাদেশ। থার্মোমিটারের পারদ চড়ছে প্রতিদিনই। এই কয়েক দিনে মৌলভীবাজার জেলায় চলছে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ। প্রায় প্রতিদিনই ত্রিশ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান এ বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক-শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া লোকজন।
গরমে সন্তানদের নিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন গৃহবধূ শামীমা শারমিন। তিনি বলেন, বাচ্চারা ঘরের বাইরে বের হতে চাচ্ছে না। লেখাপাড়াও ব্যাহত হচ্ছে।
শহরের শরবত বিক্রেতা আকলিছ মিয়া বলেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে লেবুর শরবতের পাশাপাশি ডাব বিক্রি বেড়েছে। পিপাসা ও একটু স্বস্তি পেতে শরবত এবং ডাবের পানি পান করছেন লোকজন।
এদিকে জেলা শহরের সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে শিশু ও প্রবীণদের।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, রোববার বেলা ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এপ্রিল মাসজুড়ে এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে তিনি জানন।