বিশেষ প্রতিনিধি,
প্রতীকী ছবি
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সুনামগঞ্জের সংগীতশিল্পী মতিউর রহমান ওরফে পাগল হাসানের সঙ্গে থাকা জাহাঙ্গীর আলম নামে আরেকজন মারা গেছেন। রোববার সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
সেদিন পাগল হাসান ও অন্যদের সঙ্গে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশায় ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত আফরোজ আলীর ছেলে।
এদিকে দুর্ঘটনার চার দিন পার হলেও ঘাতক বাসের মালিককে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
ছাতক থানার ওসি মো. শাহ আলম জানান, দুর্ঘটনার পরদিন শুক্রবার দুপুরে পাগল হাসানের মা আমিনা বেগম সালেহা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এর পর ঘাতক বাসের নম্বর দিয়ে মালিকের পরিচয় জানানোর জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) বলা হয়েছে। মালিকের পরিচয় পাওয়ার পর জানা যাবে, সেদিন বাসটির চালক কে ছিলেন।
এদিকে আজ রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় ছাতকের সুরমা সেতু সংলগ্ন চত্বরকে ‘পাগল হাসান চত্বর’ নামকরণের দাবি জানানো হয়েছে। সভায় জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রস্তাব পাঠানো যায় কিনা, সে বিষয়ে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
গত ১৮ এপ্রিল ছাতক শহরের সুরমা সেতুর কাছে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের বাসিন্দা পাগল হাসান ও তাঁর সঙ্গে থাকা একই গ্রামের বাসিন্দা ছাত্তার মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় অটোরিকশায় থাকা আরও তিনজন আহত হন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমও ছিলেন। আহত অন্য দু’জন হলেন– শিমুলতলা গ্রামের রুপন ও লায়েছ।