.হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে আন্তঃনগর কালনী ট্রেনের পাওয়ারকারে অবৈধ যাত্রী উঠানোর ছবি তোলায় জাতীয় দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিককে মারধরের ঘটনার মূল অভিযুক্ত মোক্তার আহমদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল রেলওয়ের বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী ফারহানা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক পত্রে অভিযুক্ত মোক্তারকে বহিষ্কারের আদেশ দেন।
তবে সাংবাদিককে মারপিট ও চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয়ার মতো গুরুতর অপরাধের জন্য শুধুমাত্র একজনকে সাময়িক বরখাস্তের লোক দেখানো ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট নন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় শায়েস্তাগঞ্জ প্রেস ক্লাবে জরুরি সভায় বসেছেন সাংবাদিকরা।এদিকে, আহত সাংবাদিক মোস্তফা কামালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার সকালে শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে আন্তনগর কালনী ট্রেনের পাওয়ারকারে অবৈধ যাত্রী বহনের ছবি তোলায় সাংবাদিক মোস্তফা কামালকে ট্রেনে উঠিয়ে মারধর করে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয় পাওয়ার কারের অপারেটর মোক্তার ও তার সহযোগীরা।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত মোস্তফা কামালকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।রেল জংশনের স্টেশন মাস্টারের রুম থেকে ধরে নিয়ে সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ঢাকা থেকে ফিরে আসা কালনী ট্রেন অবরোধের প্রস্তুতি নেন।পরে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের কর্মকর্তা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে জানালে তারা দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মোয়াজ্জুল হক জানান, সাংবাদিককে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বাঁধা দিলেও তারা শোনেনি।এ ব্যাপারে রেলের ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করা হয়েছে।তাই হামলার মূল হোতা মোক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, মোক্তারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে।হামলাকারী মোক্তারের সঙ্গে আর কে কে ছিল তদন্ত করে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।