দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
সরকারি কোন ছুটি নেই তবুও তালা ঝুলছে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে। গত কয়েকদিন ধরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার খামখেয়ালিপনায় এমনটি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ছাড়াও সপ্তাহে একদিনও দেখা মিলে না উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোসাম্মাৎ মাসুদা সুলতানার। ওই কর্মকর্তা দোয়ারাবাজারে যোগদানের পর থেকে অফিসে আসেন মাসে কিংবা পনেরো দিনে। বাসা নিয়ে স্বপরিবারে থাকেন বিভাগীয় শহর সিলেটে। অফিসে নেই কেন, জানতে চাইলে উত্তরে বলেন, অফিসের কাজে জেলায় কিংবা ফিল্ডে রয়েছেন তিনি।
একাধিক ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, কর্মকর্তা মাসুদা সরকারি অনুষ্ঠান কিংবা নির্বাচন অথবা দূর্গাপূজার সময় আসলে দেখা যায় অফিস করছেন তাঁরা। এ ছাড়া কাউকে পাওয়া যায় না অফিসে। আসেন না অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরাও। অফিস খোলা রেখে দায় সারতে মাসে তিন শ’ টাকায় চন্দ্র মালা নামের এক মহিলাকে রেখেছেন সংশ্লিষ্টরা। তিনি প্রতিদিন তালা খুললেও কোন কর্মকর্তা কর্মচারী আসেন না ওই অফিসে।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টায় সংবাদ সংগ্রহের কাজে সাংবাদিকরা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসে আসলে দেখতে পান ওই অফিসটি তালাবদ্ধ রয়েছে। একইভাবে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এসেও অফিসে কোন কর্মকর্তা কর্মচারীকে পাওয়া যায়নি।
শনিবার দুপুরে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মাসুদা সুলতানাকে মোবাইল ফোনে অফিস তালাবদ্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিস তো খোলাই আছে, আমি জরুরি কাজে ফিল্ড থেকে বাসায় আছি। গণমাধ্যম কর্মীরা অফিসে এসেছেন জেনে এর আধ ঘন্টা পর অফিসের ঝাড়ুদার চন্দ্র মালা এসে তালা খুলেন।
চন্দ্রমালা জানান, আমি প্রতিদিনই অফিস খুলে রাখি। মাসুদা ম্যাডামসহ আরও দুই কর্মকর্তা আছেন তারা মাঝে মধ্যে আসেন। কিন্তু আমি অফিস খুলে রাখি প্রতিদিনই। আজ ব্যক্তিগত ঝামেলায় অফিস খুলতে পারিনি। এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী রহমত আলী সরকার বলেন, এই অফিসে মাসের পর মাস কর্মকর্কতা আসে না। সরকারি অনুষ্ঠান, নির্বাচন কিংবা পূজার সময় তারা ঝড়ো হন। এ ছাড়া ওই অফিসে কাউকেই দেখা যায় না। শুধু অফিস খোলার জন্য তিন শ’ টাকা মাসে একজন মহিলা রেখে দিয়েছেন। মহিলা অফিস খুললেও কোন কর্মকর্তা আসেন না।
জানতে চাইলে আনসার ও ভিডিপি জেলা কমান্ড্যান্ট কামরুজ্জামান বলেন, আমি মিটিং এ আছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।