Sunday, November 24, 2024
Homeআন্তর্জাতিককেমন হবে ভারত-পাকিস্তানের বিশ্বকাপ পিচ

কেমন হবে ভারত-পাকিস্তানের বিশ্বকাপ পিচ

স্পোর্টস ডেস্ক:::

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কাউন্ট ডাউন শুরু হয়েছে আরও আগেই। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট শুরু হতে আর ৪১ দিন বাকি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে এবার প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজনে যুক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে একেবারে নতুন করে স্টেডিয়াম বানাতে হচ্ছে দেশটিকে। সেখানকার নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের বহুল প্রতিক্ষিত ম্যাচটি হবে। যার পিচ নিয়ে স্বাভাবিকভাবে দর্শকদের আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

আগামী ১ জুন পর্দা উঠবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। নিউইয়র্কের নাসাউতে ৯ জুন মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। একেবারে নতুন করে ভেন্যুটি প্রস্তুত হওয়ায় সেখানকার কন্ডিশন ও পিচের ধরন নিয়ে কেউ জানে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে এখানকার পিচ হবে অনেকটা অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডের মতো। কারণ পাকিস্তান-ভারত ম্যাচসহ আরও অনেকগুলো ম্যাচের পিচই অস্ট্রেলিয়া থেকে জাহাজে করে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে পাঠানো হচ্ছে।

উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দেশটিতে বিশ্বকাপ ম্যাচ হবে ড্রপ ইন পিচে। অস্ট্রেলিয়াতেও খেলা হয় এমন পিচে। বাধ্য হয়েই তাই অস্ট্রেলিয়ার কাছে সাহায্য চেয়েছে তারা। অস্ট্রেলিয়ার ‘অ্যাডিলেড টার্ফ সলিউশনস’ ড্রপ ইন পিচ তৈরিতে বিখ্যাত। অ্যাডিলেডের পিচ প্রস্তুতকারক ডেমিয়েন হাউয়ের অধীনে তৈরি হয় ক্রিকেটের এসব পিচ। আইসিসি ইভেন্টের জন্য এই ডেমিয়েনের সঙ্গে চুক্তি করেছে আমেরিকা। যে সব মাঠে খেলা হবে সেখানকার পিচ তৈরি করছেন ডেমিয়েন।
!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রধান নির্বাহী ব্রেট জোনস সাময়িক এই স্টেডিয়াম তৈরিতে চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছেন। কারণ নির্মাণ কাজ চলাকালে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তারা সাময়িক ভেন্যু তৈরির ধারণা নিয়েছেন অলিম্পিক গেমসের গলফ ও ফর্মুলা ওয়ান ইভেন্ট থেকে। জোনস জানান, অ্যাডিলেডের বিশেষজ্ঞ কিউরেটর ডোমিয়েন হাউ বিশ্বকাপের পিচ প্রস্তুতে সহায়তা করছেন। ফ্লোরিডার উষ্ণ আবহাওয়ায় ড্রপ ইন পিচ বানানো হচ্ছে, এরপর সেখান থেকে নেওয়া হবে নিউইয়র্কে। ফলে বিশ্বকাপের পিচও হবে অ্যাডিলেড ও মেলবোর্নের মতো।

অ্যাডিলেড ও মেলবোর্নের পরিসংখ্যানের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এসব ভেন্যুতে অস্ট্রেলিয়ার চিরাচরিত কন্ডিশন পেস ট্র্যাকের হয়ে থাকে। মেলবোর্নে এখন পর্যন্ত ২৭টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছে। যেখানে প্রথম ইনিংসে গড় রান উঠেছে ১৪১ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৪ রান। এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ১৮৬ রান করেছিল ভারত, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। অন্যদিকে, অ্যাডিলেডে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছে ১৯টি। যার প্রথম ইনিংসের গড় রান ১৫৮ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪০। তবে সর্বোচ্চ ২৪১ রানের ম্যাচও দেখা গিয়েছিল অ্যাডিলেডে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই নজির গড়ে অস্ট্রেলিয়া।

উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের ভেন্যুর ইস্ট স্ট্যান্ডে ১২,৫০০ দর্শকের বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া স্টেডিয়ামের আউটফিল্ডের পাশাপাশি উত্তর এবং দক্ষিণ প্রিমিয়াম হসপিটালিটি এবং মিডিয়া প্যাভিলিয়নের প্রস্তুতির কাজও শুরু হয়ে গেছে। তবে বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে আগেই মাঠের কাজ এবং পিচের কাজ শেষ হলে, আদৌ সেটি আইসিসির বড় ইভেন্টের ম্যাচের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়!

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments