নিজস্ব প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক সার্কেলের সহাকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক ও দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বদরুল হাসানের তত্ত্বাবধানে থানা পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মানবপাচার চক্রের ০৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গত ১০ই আগস্ট ২০২৩ খ্রি. মানবপাচার চক্রের সদস্য ১। মোঃ জামাল উদ্দিন (৪২), পিতা-হেলাল মাস্টার, সাং-কবিরখালী, থানা-দোয়ারাবাজার, জেলা-সুনামগঞ্জকে দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের অর্ন্তগত কামারপট্টি এলাকা থেকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং গত ১২ই আগস্ট ২০২৩ খ্রি. এসআই মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এবং ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মানবপাচার চক্রের আরও ০২ সদস্য আলামিন শেখ (৩২), পিতা-গফফার শেখ, ৩। আব্দুল গফফার (৬০), পিতা-মৃত শেখ ইসলাম, উভয় সাং-হাসনহাটি, থানা-নগরকান্দা, জেলা-ফরিদপুদ্বয়কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয়কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণসহ এজাহারনামীয় পলাতক আসামিগণ পরস্পর যোগসাজসে ভিকটিম বিপ্রেস সরকার (২৭), পিতা-নগেন্দ্র সরকার, সাং-নজরপুর, থানা-ধর্মপাশা, জেলা-সুনামগঞ্জ ও আব্দুল কাদির (২৫), পিতা-মোঃ আব্দুল মালেক, সাং-আনোয়ারপুর, থানা-দোয়ারাবাজার, জেলা-সুনামগঞ্জদ্বয়কে ভাল কাজের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে লিবিয়া পাঠায় এবং পরবর্তীতে লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠানো প্রলোভন দেখায়।
ভিকটিমের পরিবার ইতালি পাঠানোর বিষয় রাজি হলে আসামিগণ ভিকটিমদ্বয়কে ইতালি না পাঠিয়ে লিবিয়ায় অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে নির্যাতন করেতে থাকে এবং ভিকটিমদ্বয়কে মুক্তির কথা বলে তাদের পরিবারের নিকট হতে বিভিন্ন তারিখ সর্বমোট ৫১,৯০,০০০/= টাকা গ্রহণ করলেও ভিকটিমদ্বয়কে মুক্তি না দিয়ে আরও টাকার জন্য নির্যাতন অব্যাহত রাখে।
উক্ত বিষয় ভিকটিম বিপ্রেস সরকারে ভাই শংকর সরকার বাদী হয়ে ০৭ (সাত) জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের নামে একটি এজাহার দায়ের করলে দোয়ারাবাজার থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়।