বিশেষ প্রতিনিধি,
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে। আর এতে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে জেলার সবকটি পর্যটনকেন্দ্র। ঈদ সঙ্গে পহেলা বৈশাখের ছুটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যাচ্ছেন ভ্রমণপ্রেমীরা।
তাদের পছন্দের তালিকা থেকে বাদ পড়েনি চা বাগানও। তাইতো দুটি পাতা একটি কুড়ির সমাহার দেখতে বাগানে বাগানে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিলেট নগরের পার্শ্ববর্তী লাক্কাতুড়া, মালনিছড়া, তারাপুর ও দলদলি চা বাগানে ছিল উপচে পড়া ভিড়। কেউ কেউ প্রথমবারের দেখায় প্রেমে পড়েছেন চা বাগানের সৌন্দর্যে।
পরিবার নিয়ে সিলেটে ঘুরতে আসা নরসিংদির বাসিন্দা লাভনী আক্তার সিলেটের কাগজ কে বলেন, আমি প্রথমবার চা বাগানে এসেছি। এর আগে আমি ছবিতে, ভিডিওতে দেখেছি কিন্তু বিশ্বাস করেন বাস্তবের চা বাগান অনেক সুন্দর। আমাকে মুগ্ধ করেছে চা বাগানের পরিবেশ।
স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে আসা ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমি সিলেটের বাসিন্দা। এখানকার পরিবেশ অনেক ভালো। নিরাপদ ভ্রমণের জন্য মানুষ সিলেটকে বেছে নেয়। পরিবার নিয়ে উপভোগ করার মতো অনেক দর্শনীয় জায়গা রয়েছে এখানে।
নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা তামান্না ইসলাম মুন্নি সিলেটের কাগজ কে বলেন, সিলেটে আমি ভাইয়ের বাসায় পরিবার নিয়ে এসেছি। এসেই লাক্কাতুড়া চা বাগানে চলে এসেছি তাদেরকে চা বাগানে নিয়ে ঘুরে দেখার জন্য। আমার বিয়ের আগে এখানে একবার এসেছিলাম। বিয়ের পর আমার স্বামী বা সন্তানরা এবারই প্রথম এসেছে এই বাগানে। তারাও উপভোগ করছে।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিনোদন কেন্দ্রের ভেতরে না থাকলেও কেন্দ্রগুলোর বাইরে আমাদের পুলিশের টহল সব সময় আছে। কারো কোনো সমস্যা হলে আমাদেরকে অবহিত করলে আমরা তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এছাড়াও তাৎক্ষনিক কোনো অভিযোগ থাকলে স্থানীয় থানার ওসি বা ৯৯৯ এ কল দিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য আহ্বান জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।