গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:::
সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে গোলাপগঞ্জের বাদেপাশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবক ফরিজ আলীকে জড়িয়ে প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উত্তর আলমপুর গ্রামবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,গত ৪ এপ্রিল,২০২৪ইং (বৃহস্পতিবার) কয়েকটি অনলাইন পোর্টালের শিরোনামে “গোলাপগঞ্জে সরকারি খাল বন্ধ করে দিলেন ফরিজ” প্রকাশিত এমন সংবাদ গ্রামের কয়েকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।
উত্তর আলমপুর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক শিল্পপতি ফরিজ আলীর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে গ্রামবাসী প্রতিবেদককে বলেন,তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। তার আর্থিক সহায়তা, অক্লান্ত পরিশ্রম ও গ্রামের প্রবাসীদের অর্থায়নে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উত্তর আলমপুর থেকে ছিলিমপুর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৩ বছর পর অবহেলিত এলাকায় রাস্তা সংস্কার কাজ হওয়ায় গ্রামবাসি আনন্দিত।এই ৩ কিলোমিটার রাস্তা ও খালের অপারে মসজিদের সাথে গ্রামের সংযোগ ব্যবস্থা হিসেবে একমাত্র ব্রীজ রক্ষার স্বার্থে গ্রামবাসীকে নিয়ে বাধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।পরে উত্তর আলমপুর মসজিদ কমিটির সভাপতি হাফিজ মস্তাই মিয়া, মুরুব্বি তেরা মিয়া,মাহতাব উদ্দিন,নুরুজ মিয়া,সমাজসেবী আবুল হোসেন, মিনহাজ উদ্দিন,নানু মিয়াসহ গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে বাধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।
বৃহত্তর এলাকাবাসী বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে আরও বলেন,ফরিজ আলীর বিরুদ্ধে পত্রিকায় যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা বিন্দুমাত্র সত্য নহে।
১.ফরিজ আলী রহস্যময় কারনে সরকারি খাল বন্ধ করে দিলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।এধরনের কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।সত্য হলো গ্রামের প্রবাসীদের অর্থায়নে মাটি বরাটকৃত নতুন রাস্তা, মসজিদ ও ব্রীজ খালের কবল হতে রক্ষা পেতে খালের মাঝখানে বাঁধ নির্মান করা হয়।
২.তিনি খালে বাঁধ দেয়ার কাজ শুরু করলে গ্রামবাসী বাধা দেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সত্য হলো গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে খালে বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
৩.তিনি বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়েছিলেন, এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা।এরকম কোন কথা তিনি কাউকে কখনো বলেননি।
৪.তিনি ও তার লোকজন নিজেদের স্বার্থে খালের বাঁধ নির্মাণ করেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সত্য হলো এলাকাবাসীর স্বার্থে গ্রামের সকলের সহযোগিতায় খালে বাঁধ নির্মাণ করেন তারা।
৫.তিনি খালটি দখলের জন্য বাঁধ নির্মাণ করেন, এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি সহজ-সরল সৎ দানভীর একজন ব্যাক্তি,তিনি কখনো এমন কাজ করবেন না।
এসব ফরিজ আলীর মানসম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য প্রচার করে।
এলাকার বেশিসংখ্যক লোকজন প্রতিবেদককে আরও জানান, উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও এলাকার মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা সহ রাস্তা সংস্কারে অক্লান্ত পরিশ্রম করায় ফরিজ আলীর ব্যাপক আলোচনা ও প্রশংসায় মেতে উঠেছেন।এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে গ্রামের জহিন উদ্দিনের ছেলে গিরিংগীবাজ জাকির হোসেন ও তেরা মিয়ার ছেলে শাকের আহমদসহ কয়েকজন ষড়যন্ত্রকারী মিলে ফরিজ আলীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার কু মানষে এহেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি উক্ত সংবাদ পড়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের অনুরোধ রইল।
হাফিজ আফছার উদ্দিন বলেন,ফরিজ আলী একজন সমাজসেবী, দানভীর ও মহৎ ব্যাক্তি।তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাস্তা সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছেন এজন্য গ্রামের কয়েকজন সিন্ডিকেট প্রবাসীদের টাকা আত্মসাৎ করতে পারেনি।তাই এর জের ধরে জাকির হোসেন ও শাকের আহমদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফরিজ আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করে আসছে।আমি এই ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবি জানাই।আমাদের গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে খালে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সকলের উপস্থিতি মাটি বরাট করা হয়েছে। মূলত গ্রামে রাস্তা, ব্রীজ ও মসজিদ রক্ষার্থে বাঁধ নির্মাণ করা হয়।আমরা গ্রামবাসী আশাবাদী এ বাঁধ নির্মাণের ফলে গ্রামের রাস্তা ও মসজিদ খালের পেট থেকে রক্ষা পাবে।
উত্তর আলমপুরের তরুণ সমাজকর্মী মিনহাজ উদ্দিনও প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা দাবি করে বলেন,সংবাদে উল্লেখিত কোন তথ্য সত্য নয়,এসব সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক ও ভিত্তিহীন। ফরিজ আলী একজন সৎ, দানশীল ও সম্মানিত একজন ব্যাক্তি।
এ বানোয়াট ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে ফরিজ আলী বলেন,কিছু কুচক্রীর মহল কর্তৃক প্ররোচিত হয়ে আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা ছড়ানো হয়েছে। মূলত গ্রামের রাস্তা সংস্কার কাজের পরিচালনা করায় আমার প্রতি কয়েকজন দালালের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।আমি এ বিষয়ে যুক্ত থাকায় তারা আমার ও প্রবাসীদের টাকা আত্মসাৎ করতে পারেনি।তাই প্রতিহিংসার জের ধরে আমাদের বিরুদ্ধে গুজব রটিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। আমরা গ্রামবাসীর উদ্যোগে সকলের স্বার্থে খালে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।দুষ্কৃতকারীরা প্রশাসনের কাছে আমি সহজ-সরল ব্যাক্তিকে চিহ্নিত করার পায়তারা করছে।তারা মূলত তাদের স্বার্থ হাসিল করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র মূলকভাবে সামগ্রীক পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তাই আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রচার হয়েছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অহেতুক হয়রানি, মানসম্মান ক্ষুন্ন করার পায়তারা করলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
দৈনিক সিলেটের কাগজ প্রতিবেদকের বক্তব্য: উত্তর আলমপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী ও গ্রামবাসীর বক্তব্যের আলোকে সম্পূর্ণ সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক সিলেটের কাগজে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়।