Friday, November 8, 2024
Homeসিলেট বিভাগসিলেটগোয়াইনঘাটে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

গোয়াইনঘাটে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

 

 

মতিউর রহমান (দুলাল) গোয়াইনঘাট সিলেট:

সিলেটের গোয়াইনঘাটে জমে উঠেছে ঈদ কেনাকাটা। প্রায় প্রতিটি পোশাক বিপনী ও ফ্যাশন হাউজে চলছে বিকি-কিনি। ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে এসে কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতা সাধারনরা। গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ের হাট বাজারগুলোতেও ঈদ কেনাকাটা ধুম চলছে। ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি সবখানেই।

 

 

বুধবার সরেজমিন গোয়াইনঘাট সদরসহ ইউনিয়নের বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি বিপনী বিতানে পোশাক কিনতে আসা মানুষের উপস্থিতি। বিশেষ করে কিশোরী ও নারীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।

 

গোয়াইনঘাটের আবিদ ফ্যাশন, বাঁধন ফ্যাশন গ্যালারী, নাবিলা ফ্যাশন, শিল্পী ফ্যাশন, খাঁন ফ্যাশন, শাহ্জালাল বিপনী বিতান, আরশী এন্ড তাওহিদা ফ্যাশন, তানজিনা ফ্যাশনসহ প্রায় সবকটি বিপনী বিতানে উপচে পড়া ভিড়। প্রতিটি দোকানে পছন্দসই পোষাক কিনছেন ক্রেতারা।

 

সরেজমিনে কথা হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে। আবিদ ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী কাওছার আহমদ জানান, এবারের ঈদে তরুনীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ইন্ডিয়ান আলেয়াকার্ড, জর্জেট, বিভিন্ন জাতের থ্রী-পিছ, শাড়ী, শিশুদের পোষাকের মধ্যে আলমসের পোষাকের চাহিদা বেশি। ঈদ উপলক্ষে তিনার প্রতিদিনের গড় বিক্রি প্রায় ৫০হাজার। এমন বিকিকিনিতে তিনি সন্তুষ্ট।

 

 

বাঁধন ফ্যাশন গ্যালারী স্বত্তাধিকারী মুহিবুল হক জানান, পদজা, নায়রা, আলেয়া কার্ড, জর্জেট ও আলমসের পোষাক বিক্রয় হচ্ছে বেশি। বেচাকানা আশানুরূপ। প্রচুর কাস্টমার আসছেন এবং প্রছন্দসই পোষাক কিনছেন।

 

ঈদের কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী শাহানা আক্তার জানান,বর্তমানে তরুনীদের পছন্দের তালিকায় আলেয়া কার্ড বেশি চলছে,তাই আমি ও আমার বোনের জন্য এই পোষাক কিনেছি। পোষাকের মানও তুলনামূলক ভালোই।

 

 

আবিদ ফ্যাশনে কথা হয় দুলাল মিয়ার সাথে, তিনি শাড়ী কিনছেন পরিবারের ৬ জনের জন্য জর্জেট, টাঙ্গাইল ও প্রিন্টের শাড়ী কিনেছেন তিনি। পোষাকের মান ও দামে তিনি সন্তোষ্ট বলে জানান।

 

 

তোয়াকুল বাজারের কোয়ালিটি ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী মঈনুল হক জানান, ঈদে বেচাকেনা বেড়েছে, কাস্টমারের গতবারের চেয়ে উপস্থিতি ভালো, প্রতিদিন প্রায় ২৫থেকে ৩০ হাজার টাকার বিকিকিনি হচ্ছে তবে তিনি বলেন এলাকার দুকানে বাকি বেশীর দ্বায় তিনি পুঁজি সল্পতায় ভুগছেন। মালামাল আরো বেশী কালেকশন করতে পারলে ডেইলি বিক্রির পরিমাণ নিঃসন্দেহে আরো বাড়তো।

 

একই বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মাহবুব বস্ত্র বিতানের স্বত্তাধিকারী মাওঃ শুহাইবুর রহমান জানান এবার তিনি এলাকার কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী মাল কালেকশন করেছেন প্রতিদিনের গড় বিকিকিনি ৫০হাজার হবে এতে তিনি সন্তুষ্ট।

 

কোয়ালিটি ফ্যাশনের ক্রেতা জহির উদ্দিন জানান স্থানীয় তোয়াকুল বাজারে যুগের সাথে চাহিদা ও রুচিসম্মত কাপড়চোপড় যথেষ্ট অভাব রয়েছে।

 

এলাকায় ক্রেতা বিক্রেতার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষেণ করে বুঝা যায় এলাকায় প্রবাস ভিত্তিক আয়ের উৎস বৃদ্ধি পাওয়ায় এবছর ঈদের হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে একটু বেশি আমেজ লক্ষ করা গেছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments