সাজ্জাদ মাহমুদ মনির, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক সরকারি কলেজের প্রভাষক ও বিএনসিসি প্লাটুনের (পিইউও) একেএম বাকের হোসেন হাওলাদারের ছাত্রী ইভটিজিং এর অভিযোগের ঘটনা আড়াল করতে সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি মানবতার সেবায় নিয়োজিত সামরিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ক্যাডেটদের সমন্বয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাংলাদেশ এক্স-ক্যাডেটস এসোসিয়েশন’ (বেকা) কে নিয়ে বিভিন্ন নিউজ মাধ্যমে সুনামগঞ্জ ইউনিটকে জড়িয়ে দোষারোপ করেন। তারই প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ এক্স-ক্যাডেটস এসোসিয়েশন’ (বেকা) সুনামগঞ্জ ইউনিট।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে বেকা সুনামগঞ্জ ইউনিটের অস্থায়ী কার্যালয় ছাতক হাইস্কুলে মার্কেটে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান বাংলাদেশ এক্স-ক্যাডেট এসোসিয়েশন (বেকা) সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিটের নির্বাহী সদস্য মো. পাবেল মিয়া।
বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৪ মার্চ, ছাতক সরকারি কলেজের প্রভাষক ও কলেজ বিএনসিসি প্লাটুনের পিইউও একেএম বাকের হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে একই কলেজের একজন নারী শিক্ষার্থীর সাথে ইভটিজিং এর অভিযোগকে কেন্দ্র করে ২৯ মার্চ সিলেটের বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে ইভটিজিংয়ের প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে বেকা সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিটকে দোষারোপ করে বিবৃতি দিয়েছেন। আমরা তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ইভটিজিং এর দায়ে অভিযুক্ত একেএম বাকের হোসেন হাওলাদার নিউজে বলেছেন, ছাতক সরকারি কলেজ বিএনসিসি প্লাটনে ২০০৮ সাল থেকে এক্স-ক্যাডেট বেকা কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়।
যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বেকা সুনামগঞ্জ ইউনিট ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। সুতরাং ২০০৮ সালে তার নিষিদ্ধ করার গল্প আদতে সত্য নয়। তাছাড়া বেকা একটি এক্স-ক্যাডেটদের জাতীয় সংগঠন এবং সারাদেশে ৪৫ টি জেলা ইউনিটের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিট একটি পদক প্রাপ্ত ইউনিট। আমরা যারা অত্র কলেজের এক্স-ক্যাডেট তারাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্যাডেটদের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে থাকি। এখানে বেকা সংগঠন কোন দোষ করেনি। তাহলে বেকা সংগঠনকে জড়িয়ে তার বক্তব্য শুভনীয় হয়নি। বেকা সুনামগঞ্জ ইউনিটের এ প্রতিবাদ করার জন্যই আজকের এই সংবাদ সম্মেলন করছে।
বক্তব্যে বলা হয়, ছাতক সরকারি কলেজ বিএনসিসি প্লাটুনের অর্থ কেলেংকারির সাথেও বাকের সাহেব জড়িত। যা ২০১১ সালের ১৬ জুলাই স্থানীয় ও জাতীয় একাধিক পত্রিকায় তার অর্থ কেলেংকারির সংবাদ আপনাদের কলমের মাধ্যমে উম্মোচিত হয়েছিল। ওই সময়ে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় পিইউও বাকের হোসেন হাওলাদারের অর্থ আত্মসাতের দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত পত্রিকার ফটোকপি তুলে ধরেন।
পরিশেষে বলা হয় একজন শিক্ষক হিসেবে আমরা তাকে সম্মান করি। তবে লিখিত আবেদনকৃত ইভটিজিং মেয়েটিও ন্যায়বিচার প্রার্থী। এই মেয়েটির সাথে বেকা কিংবা এক্স-ক্যাডেটদের এমন কোন যোগাযোগ নেই। বিবেকের তারনায় আমরা অত্র প্রতিষ্ঠানের এক্স ক্যাডেটরা বিষয়টি নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করি। কোন বেকা’র সদস্য হিসেবে আবেদন করিনি। সুতরাং বেকাকে নিয়ে তার মনগড়া বক্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ এক্স-ক্যাডেটস এসোসিয়েশন’ (বেকা) সুনামগঞ্জ ইউনিটের সভাপতি হোসেন আহমদ, সহ সভাপতি বদরোজ্জা শাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাফাতুর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য- আব্দুল মুমিন, জিয়াউল হক পাপ্পু প্রমুখ।
সাজ্জাদ মাহমুদ মনির
০১৭৩২৭৫২০৭৭
০২/৪/২৪