বিশেষ প্রতিনিধি,
সুনামগঞ্জে কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া ও সংঘর্ষে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার বিকালে (৩০ মার্চ) ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনের লোকজন প্রকাশ্যে অস্ত্রের প্রদর্শন করে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি দিয় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।
বন্দুক নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর একরার বাহিনী হামলা করলে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানা যায়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় আতঙ্কিত মানুষের ফোনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্দুকের মহড়ার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়লে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে বারবার অস্ত্র প্রদর্শন করার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছে গ্রামের লোকজন।
তবে চেয়ারম্যান একরার হোসেন জানিয়েছেন এগুলো কাঠের ডামি অস্ত্র ও পাইপ।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্ব নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনের সঙ্গে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গ্রামবাসীর বিরোধ চলছে। একরার হোসেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এ ঘটনায় বোর্ড তদন্ত করে অনিয়মের অভিযোগে তাঁর কমিটি বাতিল করে দেয়। ফলে প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষক ও গ্রামবাসীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।
এদিকে এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে ভিডিও বক্তব্যের মাধ্যমে গ্রামের লোকজনকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকী প্রধান করেন ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনের ভাতিজা রাজু হোসেন।
দিরাই থানার ওসি (তদন্ত) রতন দেবনাথ বলেন, ‘খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ পাঠিয়েছি। আমরা আজকের ঘটনায় অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব।