Sunday, November 24, 2024
Homeসিলেট বিভাগছাতক সরকারি কলেজে শিক্ষক এর দারায় যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রী

ছাতক সরকারি কলেজে শিক্ষক এর দারায় যৌন হয়রানির শিকার ছাত্রী

 

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি::

ছাতক সরকারি কলেজের প্রভাষক ও কলেজ বিএনসিসি প্লাটুন কমান্ডার (পিইউও) একেএম বাকের হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে ইভটিজিং যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছেন ওই কলেজের এক শিক্ষার্থী। কলেজ অধ্যক্ষ বরাবরে গত ২৪ মার্চ এ অভিযোগ দেন কলেজ বিএনসিসি মহিলা প্লাটুনের ক্যাডেট সার্জেন্ট।

অভিযোগের কপি সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও দেয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগটি কলেজ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেন ২৪ মার্চ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগের কপি গ্রহণ করা হয়েছে ২৬ মার্চ সকাল ১১.৩৫ ঘটিকার সময়।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অক্টোবর ২৩ ইং কুমিল্লা ময়নামতি রেজিমেন্ট ক্যাম্পে ৯ জন ক্যাডেট নিয়ে ছাতক থেকে রাতের বাস যোগে পিইউও একেএম বাকের হোসেন হাওলাদার কুমিল্লা যান। এরমধ্যে ৭ জন মহিলা ক্যাডেট ও ২ জন পুরুষ ক্যাডেট ছিলো। বাসে সুকৌশলে তিনি তার পাশের সিটে বসিয়েছেন অভিযোগকারী ওই মহিলা ক্যাডেট সার্জেন্টকে।

রাতের বেলা চলন্ত বাসের মধ্যে পিইউও একেএম বাকের হোসেন হাওলাদার তার পাশে বসা ওই ভুক্তভোগী মহিলা ক্যাডেট সার্জেন্টের শরীরে গা ঘেষে বারবার বিরক্ত করতে থাকেন। খারাপ ইঙ্গিত সহ হাতে হাত ধরে বারবার তার শরীর স্পর্শ করেছেন।

এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ওই ভুক্তভোগী মহিলা ক্যাডেট সার্জেন্টের মোবাইল ফোনে “মিস ইউ” ইত্যাদি ম্যাসেজ পাটিয়ে তাকে বিরক্ত করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রভাষক ও পিইউও একেএম বাকের হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে ইভটিজিং এর আরো অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে অনেকেই মান সম্মানের ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ। কলেজের কোন ক্যাডেট যদি ঘটনাক্রমে প্রভাষক ও পিইউও একেএম বাকের হোসেন হাওলাদারের কোন ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি ও অসামাজিক কার্যকলাপ দেখে ফেলেন তাহলে ওই ক্যাডেটকে বাকের হোসেন হাওলাদার সুকৌশলে কলেজ প্লাটুন থেকে বের করে দেন। যার ফলে প্রভাষক বাকের হোসেন হাওলাদারের অপরাধের মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলছে।

অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, কলেজের বিএনসিসি ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণে ছেলেদের পরিবর্তে মেয়েদের প্রাধান্য বেশী দেন পিইউও বাকের হোসেন হাওলাদার। সিলেট, কুমিল্লা অথবা ঢাকায় কোন প্রশিক্ষনের নির্দেশ আসলে একেএম বাকের হোসেন হাওলাদার ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশী নিয়ে যান।

অভিযোগ উঠেছে প্রশিক্ষণ শেষে তার পছন্দমতো একজন মেয়ে নিয়ে ট্রেনিং এলাকার বাইরে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘুরতে যান। এ বিষয়ে জানার জন্য কলেজ অধ্যক্ষ তুলসী চরণ দাস ও কলেজের হিসাব রক্ষক (অভিযোগ রিসিভকারি) আব্দুর রহিমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ মোবাইল রিসিভ করেননি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments