বিনোদন ডেস্ক:
বাংলাদেশের প্রাজ্ঞ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শবনম প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সম্মাননায় ভূষিত হচ্ছেন। আগামী ২৩ মার্চ পাকিস্তানের ইসলামাবাদে প্রদান করা হবে এই পদক। পদক গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের অনুমতির প্রয়োজন ছিলো। সরকার প্রধান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাভের পর ২০ মার্চ পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন শবনম।
জানা গেছে, ঢাকায় এহতেশামের হাত ধরে অভিনয়ে হাতেখড়ি শবনমের। তিনি চান্দা, তালাশ, হারানো দিন, নাচের পুতুল সিনেমা দিয়ে অভিভক্ত পাকিস্তানে তুমুল দর্শকপ্রিয়তা পান। পরবর্তীতে নিজেকে আরও মেলে ধরতে পাড়ি জমান তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে। সেখানে মাথা উঁচু করে নিজেকে মেলে ধরেন। পরবর্তীতে জন্মভূমিতে ফিরে সর্বশেষ ‘আম্মাজান’ সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ারে ইতি টানেন। এই বিষয়ে শবনম বলেন, ক্যারিয়ারে লম্বা সময় পাকিস্তানে কাজ করেছি। স্বামী – স্ত্রী দু’জনেই মাথা উঁচু করে কাজ করেছি। যে কারণে ওরা সর্বোচ্চ পদক দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই পদক প্রাপ্তির খবরে আমি গর্বিত। আর পদক গ্রহণে অনুমতি দিচ্ছেন বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি শুনেছি তিনি এই পদক পাওয়ার খবরে খুশিও হয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি – এই পদক দুই দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে যোগসূত্র তৈরি করবে। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের। তাদের আন্তরিক সহযোগিতা না পেলে জীবন সায়াহ্নে এসে এই পদক গ্রহণ করতে যেতে পারতাম না।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ শবনম সর্বোচ্চ ১৩ বার নিগার, তিনটি জাতীয়, পিটিভি এবং লাক্স লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়াও ২০১৭ সালে লাহোর সাহিত্য উৎসবে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করার বিরল গৌরব অর্জন করেন বাংলাদেশের এই গুণী অভিনেত্রী।