স্পোর্টস ডেস্ক:
ফিল্ডিংয়ে সৌম্য সরকার ঘাড়ে আঘাত পেয়েছিলেন। যে কারণে আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। তার কনকাশন বদলি হিসেবে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন তানজিদ তামিম। সুযোগ পেয়ে তা দুহাত ভরে কাজে লাগালেন এই তরুণ ওপেনার। এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও আরেক প্রান্তে বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন তামিম। ৫১ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তবে কাটা পড়লেন ৮৪ রানে।
২২তম ওভারে হাসারাঙ্গাকে উরিয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ধরা পড়েন তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮১ বলে ৮৪ রান। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
৩০.০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৪৮ রান। জয়ের জন্য টাইগারদের আরো প্রয়োজন ৮৮ রান।
সিরিজে প্রথমবার খেলতে নামা দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও এনামুল হক বিজয় দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন। ৪৭ বলেই প্রথম ফিফটি দেখা পায় বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরই ফিরেছেন বিজয়।
নবম ওভারের দ্বিতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথে করেছিলেন লাহিরু কুমারা, সেখানে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক্সট্রা কভারে দাঁড়িয়ে থাকা আভিষ্কা ফার্নান্দোর হাতে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ১২ রান।
তিনে নেমে পুরোপুরি ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লাহিরুকে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে খোঁচা দিয়েছেন শান্ত, উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার তার ব্যাট থেকে ৫ বলে এসেছে ১ রান।
গত ম্যাচে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। অপরাজিত ছিলেন ৯৬ রান করে। আজকের ম্যাচেও ভালো শুরু করেছিলেন। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন। সাজঘরে ফিরেছেন বাজে এক শটে। লাহিরুর খাটো লেংথের বল টেনে পুল করতে গিয়ে ভুল করেছেন হৃদয়। ডিপ ব্যাকওয়াড স্কয়ারে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ বলে ২২ রান।