সদ্য ঘোষিত এশিয়া কাপের ১৭ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা পাননি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদউল্লাহকে এ স্কোয়াডে না রাখায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারই স্ত্রী জান্নাতুল কাউসার মিষ্টি।
শনিবার (১২ আগস্ট) এশিয়া কাপের দল ঘোষণার সময় মাহমুদুল্লাহকে না রাখার বিষয়ে নান্নু বলেন, এ জায়গায় রিয়াদকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তারপর টিম ম্যানেজমেন্ট অনেক আলোচনার পর, সামনে কোন দেশের বিপক্ষে কীভাবে খেলবে সে সংক্রান্ত একটা প্ল্যান আমাদের দেয়।
এসব চিন্তা-ভাবনা করেই রিয়াদকে অফ করা হয়েছে। ম্যানেজমেন্টের প্ল্যানকে আমরা ভালো মনে করেছি। কোচের একটা প্ল্যান আছে, সব আলোচনা করা হয়েছে, অধিনায়কের সাথেও আলোচনা করা হয়েছে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জাতীয় দলে জায়গা পেতেই নতুন করে অনুশীলন শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বয়স বিবেচনায় নিলে ফিটনেস পরীক্ষায়ও খারাপ করেছেন বলা যাবে না। আবারো মাঠে ফিরবেন এমন প্রত্যাশা ছিল সবার। তবে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে না থাকায় ৩৭ বছর বয়সী রিয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তাইতো অনেকটাই ক্ষুব্ধ মাহমুদউল্লাহর স্ত্রী জান্নাতুল কাউসার মিষ্টি।
ক্রিকেটে স্বামীর অবদানে গর্ববোধ করে তিনি লিখেছেন, বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরিয়ানের স্ত্রী হিসেবে আমি জান্নাতুল কাওসার গর্ববোধ করি এবং আজীবন করবো। যাকে কোটি কোটি মানুষ ভদ্রলোক, সৎ, ভালো মানুষ হিসেবে জানেন। আলহামদুলিল্লাহ। তাকে দলের প্রয়োজনে যখন যেখানে খুশি খেলতে নামানো হতো তাও সে কখনও কোনোদিন কিছু বলেননি।
তার স্বাচ্ছন্দ্যের পজিশন আসলে কোনটা। সেই সেক্রিফাইসগুলো না করলে আজকে তার রানের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতো! সে সর্বদাই অপ্রতিবাদী ছিলেন। নিজের যোগ্যতায় সবসময় দলে জায়গা পেয়ে আসছেন। আমি এখনও গর্ববোধ করছি কারণ আমার স্বামী খারাপ খেলে দল থেকে বাদ পড়েনি! ভালো করে পরিসংখান অনুসন্ধান করলে দেখবেন! প্রাথমিক দলে থেকে কঠোর অনুশীলন করে চেষ্টা করেছেন এবং ফিটনেস টেস্টেও ফেল করেনি। আলহামদুলিল্লাহ। তাই যথাযথ কারণ বিশ্লেষণ করে তাকে বাদ দিলে উপকৃত হতাম।
আমি দোয়া করি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ আর কোনো ক্রিকেটার যেন অবহেলার স্বীকার না হয়, সুযোগ বঞ্চিত না হয়, সাইলেন্ট হিরো না হয়! আগামী প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য বিশ্রামের ট্রেন্ড বন্ধ হোক, যাতে তাদের অবসরের অধিকার কেড়ে নেয়া না হয়।