মতিউর রহমান (দুলাল), গোয়াইনঘাট (সিলেট):
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের হাটগ্রামের চৌধুরী কান্দি এলাকার জনসাধারণের নিজস্ব অর্থ ও স্বেচ্ছা শ্রমে প্রায় দুই কিলোমিটার মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।
কাপনা নদীর তীরে প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। ত্রিশ বছর পূর্বে বসতি গড়ে উঠলেও সড়ক যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হাটগ্রাম (চৌধুরী কান্দি) এলাকার মানুষ। বর্ষাকাল হলেই চৌধুরী কান্দি এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। সড়ক যোগাযোগ না থাকায় স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ফলে অভিভাবকরা তাদেরকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চৌধুরী কান্দির আমির মিয়ার বাড়ি হইতে হাবিবুর রহমানের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। কাপনা নদীর তীরবর্তী এই গ্রামটি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড ও নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটগ্রাম চৌধুরী কান্দির বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন করে আসছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধু আশার বাণী শুনতে হয়েছে। এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ হতদরিদ্র তবুও পরিবার প্রতি এক হাজার টাকা করে চাঁদা তুলে আমরা রাস্তাটি নির্মাণ করেছি।
চৌধুরী কান্দির আরেক বাসিন্দা করিম আলী বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল হাটগ্রাম স্কুল হইতে দাড়াখাই পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের।কিন্তু সরকারের বিভিন্ন দফতর ও জনপ্রতিনিধির কাছে বারবার ধরণা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। শুধু প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ।
জানতে চাইলে ডৌবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসী রাস্তাটির কাজ শুরু করায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ আসলে আমরা রাস্তাটির কাজে সহযোগিতা করব।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, এই রাস্তা সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না, আপনাদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। রাস্তাটির কাজ পরিপূর্ণ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।