Friday, November 22, 2024
Homeজাতীয়বিএনপির সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি নেই: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি নেই: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি এবং তাদের সমর্থন নেই। কারণ, লুটেরাদের সঙ্গে কেউ থাকে না। বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা দেশের সর্বনাশ করা ছাড়া কোনো কিছুই করতে পারে না। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশকে আবারও অন্ধকারে এবং পেছনে টেনে নিয়ে যাবে। দেশবাসীকে বলব-বিএনপিকে বিশ্বাস করবেন না।

 

শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

 

বিএনপির সাজাপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়, তারা দেশের মানুষের কোনো উন্নতি করেনি, শুধু নিজেদের উন্নতি করেছে। দুহাতে লুটপাট করেছে। এজন্যই এখন লন্ডনে বসে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে।

 

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এখন যখন বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে, তারা সরকার উৎখাত করতে চায়, এর মানে কি তারা আবার দেশকে পিছিয়ে নিতে চায়! আমরা বিএনপির মতো দেশকে পিছিয়ে নিইনি। ওরা আবার এলে ভাতা বন্ধ করে দেবে, বিআরটিসি বন্ধ, কমিউনিটি ক্লিনিক চিকিৎসা বন্ধ করে দেবে।

 

বিএনপির একদফা আন্দোলনের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি একদফা আন্দোলন করছে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে! কী অপরাধ আমাদের? বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কত মৃত্যু-হত্যা-লাশ, গুম, কত ঘটনা ঘটেছে। ’৯১-এ যখন বিএনপি ক্ষমতায় এলো, কী দিতে পেরেছিল মানুষকে? তিনি আরও বলেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। তাদের কাছে প্রশ্ন-আজ বিএনপি-জামায়াতের এত আন্দোলন কেন? তখন খালেদা জিয়া বলেছিল, পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নেই! আমি জানতে চাই, পাগল আর শিশু তারা পেয়েছে কি না? সেই জবাবটা জাতির কাছে দিতে হবে।

 

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। এজন্যই ১৫ ফেব্র“য়ারির নির্বাচনে তারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নমিনেশন দেয়। খুনিদের সংসদে নিয়ে আসে। যারা এ হত্যাকাণ্ডে (জড়িত), তাদের পুরস্কৃত করল কীভাবে? ১৫ ফেব্র“য়ারির নির্বাচন এ দেশের জনগণ মেনে নেয়নি, ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া বাধ্য হয় পদত্যাগ করতে। তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য, কারণ তারা জনগণের ভোট চুরি করেছিল। যারা জনগণের ভোট চুরি করে, তারা কোন মুখে নির্বাচন নিয়ে কথা বলে?

 

শেখ হাসিনা বলেন, রক্ত যাদের হাতে, তারা কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? যার হাত সেনাবাহিনীর রক্তে রঞ্জিত, সাধারণ মানুষের রক্তে রঞ্জিত, তারা কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলে? ভোট চুরি করেছে, স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে যাদের জš§, তারা কী গণতন্ত্রের কথা বলে? এরা এলে গণতন্ত্র থাকতে দেবে না।

 

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারের শিকার দেশের সর্বস্তরের মানুষ। খালেদা জিয়া যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, এটা আমাদের করা মামলা না। তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করা মামলা।

 

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। সূচনা বক্তব্যের পর শুরু হয় মূল আলোচনা। বৈঠক সূত্র জানায়, কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলের ভেতরে ঐক্যের নিদের্শনা দেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। সমসাময়িক রাজনীতিসহ বৈঠকে ৯টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। সেগুলোর মধ্যে ছিল শোক প্রস্তাব, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার জš§দিন উদ্যাপন (২৮ সেপ্টেম্বর), শেখ রাসেল দিবস (১৮ অক্টোবর), জেলহত্যা দিবস (৩ নভেম্বর), নূর হোসেন দিবস (১০ নভেম্বর), ডা. মিলন দিবস (২৭ নভেম্বর), সমসাময়িক বিষয় (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক), সাংগঠনিক বিষয় ও বিবিধ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments