বিশেষ প্রতিনিধি:
চলতি বছরে আরও তিন থেকে চারবার বিদ্যুতের মূল্য বাড়াবে সরকার। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর এভাবেই বাড়ানো হবে। এর মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় বিদ্যুতের গ্রাহক পর্যায়ে মূল্য বাড়ানো হয়।
পাশাপাশি চলতি মাসে বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের মূল্য। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য বাড়াবে। তবে বিশ্ববাজারে কমলে এখানেও কমানো হবে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ বছর বিদ্যুতের মূল্য আরও কয়েক দফা সমন্বয় করা হবে। এভাবে আগামী তিন বছর চলবে। তবে কোন মাসে সমন্বয় করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
জ্বালানি তেলের মূল্য প্রসঙ্গে বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমন্বয় করা হবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে সমন্বয় করা হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য খুব বাড়বে না। তবে পরিবর্তন হলে সেটি নির্ভর করবে বৈশ্বিক বাজারের ওপর।
জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর এ পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ১৩ বার।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুতের মূল্য দফায় দফায় বাড়ানো অর্থ হলো আইন করে কণ্ঠরোধ করে আমাদের কাছ থেকে লুণ্ঠন করার শামিল। এটি জুলম হবে।
এমনিতে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক অবস্থায় বিরাজ করছে। এরমধ্যে চলে আসছে রোজা। আর রোজা শুরুর আগেই এক দফা বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়। অর্থনীতিবিদদের মতে, এর প্রভাব এসে পড়বে নিত্যপণ্যের বাজারে।
জিনিসপত্রের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারগুলো। এরমধ্যে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পারিবারিক বাজেটের ওপর আঘাত আনবে নতুন করে। এখানেই শেষ নয়, খুব সহসায় বাড়ানো হতে পারে জ্বালানি তেলের মূল্য।