নিজস্ব প্রতিবেদক:::
সাম্প্রতিক সিলেটের নারী সাংবাদিক লাকীর মামলায় সাপ্তাহিক বৈচিত্রময় সিলেট পত্রিকার তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাংবাদিক লাকী আহমেদ সাপ্তাহিক বৈচিত্র্য সিলেট পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার, ওই পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নুরুদ্দীন রাসেল পবিত্র কুরআন শরীফ ছুয়ে প্রতিজ্ঞা করে, মোল্লা দিয়ে আখদ্ পড়িয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলা বাজার থানাধীন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কাছে খালের মুখ এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে ঘর সংসার করতেন, এভাবেই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন।
দেড় বছর সংসার চলার পর সাংবাদিক লাকী রাসেল এর আচরণে সন্দেহ হলে কাজী অফিসে কাবিন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ক্ষুদ্ধ হয়ে লাকীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে নুরুদ্দীন রাসেল।
তারপর মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মহসীন কামরানকে বিষয়টি জানানো হয়, কিন্তু প্রতারক রাসেল তা স্বীকার করে না। তখন লাকী বিষয়টি পত্রিকার সম্পাদক আবুল কাশেম রুমনকে জানালে এবার সুযোগ সন্ধানী রুমনে লোলুপ দৃষ্টি পরে লাকীর উপর। বিছানায় পেতে চায় লাকীকে, বিষয়টি লাকী মেনে না নেওয়ায়, হুমকি দেয় দেখে নেওয়ার।
এই হুমকি দেওয়ার কারণে লাকী রুমনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। লাকী সাধারণ ডায়েরী দায়ের করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে আবুল কাসেম রুমন লাকীকে পুলিশের সোর্স, র্যাবের সোর্স এর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে লাকীর ছবি ছাপিয়ে হলুদ সাংবাদিক বানিয়ে সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকা থেকে তাকে বহিষ্কার করে।
শুধু তাই না সাংবাদিক লাকী আহমেদ তাহার ফেসবুক আইডিতে জিডির কপি পোস্ট করার কারণে আবুল কাশেম রুমন বাদী হয়ে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালে লাকীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে, মামলা নং ১৬৬/২৩। তারপর লাকী আহমেদ এর বহিষ্কারের বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইন ও তাহার নিজ পত্রিকায় ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করলে, লাকী আহমেদ বাদী হয়ে, সিলেট সাইবার আদালতে বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল কাশেম রুমন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নুরুদ্দীন রাসেল’র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে সাংবাদিক লাকী আহমেদ স্ত্রীর মর্যাদা পেতে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং -৭৬১/২৩। এই মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে, ঐ মামলায় নুরুদ্দীন রাসেল সহ ৫ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে রুমন, রাসেল, কামাল, সাইবার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সাংবাদিক লাকীকে একের পর এক ক্ষতি করার হুমকি দিলে অসহায় হয়ে লাকি সিলেট এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে, আবুল কাশেম রুমন নুরুদ্দীন রাসেল ও নদীমুল্লাহ কামালকে বিবাদী করে আরো একটি মামলা দায়ের করেন,মামলা নং ২৯৮/২৩ইং।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হুমকির মামলা নম্বর ২৯৮/২৩ শুনানি শেষে আদালত সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক আবুল কাশেম রুমন ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নুরুদ্দীন রাসেল, এবং সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার নদিমুল্লা কামাল এর নামে গ্রেফতারী পরোওয়ানা জারি করেন আদালত।
গ্রেফতারী পরোওয়ানা জারি হওয়ার পর থেকেই রুমন, রাসেল ও কামাল পলাতক রয়েছে বলে মামলার বাদী বিষয়টি জানান।