Sunday, November 24, 2024
Homeখেলাধুলাক্রিকেটলিটনের ফিফটির পরও হারল কুমিল্লা, সিলেটের জয়

লিটনের ফিফটির পরও হারল কুমিল্লা, সিলেটের জয়

স্পোর্টস ডেস্ক:

বেনি হাওয়েলের ঝোড়ো ফিফটিতে বড় সংগ্রহ গড়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। সেই রান তাড়ায় লিটন দাসের ব্যাটে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে ইনিংসে মাঝের ওভারগুলোতে লাগাম টেনে ধরে সিলেট। জনসন চার্লস-মঈন আলিরা ব্যর্থ হলে প্রয়োজনীয় রান আর বলের মধ্যে ব্যবধান বাড়ে। লিটন দাস-আন্দ্রে রাসেল চেষ্টা করেছেন, তবে সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি।

 

 

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করেছিল সিলেট। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি কুমিল্লা।

 

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি কুমিল্লার। ৫ বলে ৩ রান করে ইমরুল কায়েস সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ১৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে ১৭ রান।

 

 

চারে নেমে বেশ ভুগেছেন জনসন চার্লস। ২১ বলে ১২ রান করা এই ক্যারিবিয়ানকে মুক্তি দিয়েছেন শফিকুল ইসলাম। সিলেটের এই পেসার এদিন দুর্দান্ত ছিলন। মূলত তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েই মাঝের ওভার গুলোতে রানের চাকা টেনে ধরে সিলেট।

 

মিডল অর্ডারে ব্যর্থ ছিলেন মঈন আলিও। এই ইংলিশ অলরাউন্ডার ৫ বল খেলে ডাক খেয়েছেন। এক প্রান্তে ব্যাটারদের এমন আসা-যাওয়ার মধ্যেও আরেক প্রান্তে দুর্দান্ত ছিলেন লিটন। তবে এই ওপেনার সময়মতো গিয়ার পরিবর্তন করতে পারেননি। ফলে শেষ দিকে চাপ বেড়েছে।

 

 

শেষ ওভারে লিটন সাজঘরে ফেরার আগে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৮ বলে ৮৫ রান। আর রাসেল করেছেন ১৪ বলে ২৩ রান। সিলেটের হয়ে ৩৩ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তানজিম সাকিব।

 

এর আগে ব্যাট হাতে সিলেটকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও কেনার লুইস। ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৮ রান করা জাকিরকে ফিরিয়ে ৪০ রানের জুটি ভাঙেন সুনীল নারাইন। জাকিরের পর সাজঘরে ফিরেছেন লুইসও। ২৫ বলে দুই চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৩৩ রান করেছেন তিনি।

 

আবারও ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ভুলে যাওয়ার মতো বিপিএলে আজ ১৮ বল মোকাবিলায় করেছেন মোটে ১২ রান। শেষ দিকে হাওয়েল ও মিঠুনের জুটিতে বড় সংগ্রহ গড়ে সিলেট। তাদের জুটিতে ৪২ বলে আসে ৭৭ রান। ২০ বলে ২৮ রান করেছেন মিঠুন। অন্যদিকে, ব্যক্তিগত পঞ্চাশ ছুয়েছেন হাওয়েল। শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৬২ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

 

কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও সুনীল নারাইন। একটি উইকেট পেয়েছেন মুশফিক হাসান।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments