বিশেষ প্রতিনিধি:
ফ্লাইটগুলোর মূল গন্তব্য ছিল ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। তবে চলতি শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে সেসব ফ্লাইট অবতরণ করেছে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। চলতি মাসের তিন সপ্তাহে (২ জানুয়ারি-২৩ জানুয়ারি) ঢাকার ১৬টি ফ্লাইট এসে অবতরণ করেছে সিলেটে। পরে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফ্লাইটগুলো গন্তব্যে উড়ে গেছে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্য।
বিমানবন্দর সূত্র বলছে, ঘন কুয়াশার কারণে গত ২ জানুয়ারি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না পেরে সিলেটে এসে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ৫টি ফ্লাইট। ওইদিন ওসমানী বিমানবন্দরে পার্কিংয়ের সময় ইউএস-বাংলার দুটি উড়োজাহাজের পাখায় সংঘর্ষ হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাখা। মেরামতের পর এগুলো গন্তব্যে উড়ে যায়।
এরপর ৪ জানুয়ারি দুবাই, দোহা, শারজাহ, চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে আসা আরও ৫টি ফ্লাইট ঢাকায় ব্যর্থ হয়ে সিলেটে এসে অবতরণ করে।
দুবাই থেকে আসা ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট গত ৬ জানুয়ারি সকালে সিলেটে অবতরণ করে।
১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের দুটি ফ্লাইট ঘন কুয়াশায় ঢাকায় অবতরণে ব্যর্থ হয়। চীনের গুয়াংজু ও ওসমানের মাসকাট থেকে আসা ফ্লাইট দুটি পরে অবতরণ করে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
কাতারের দোহা ও চীনের গুয়াংজু থেকে আসা আরও দুটি ফ্লাইট সিলেটে এসে অবতরণ করে ২০ জানুয়ারি।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সিঙ্গাপুর থেকে আসে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট। ঢাকায় ব্যর্থ হয়ে এটি অবতরণ করে সিলেটে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উড়োজাহাজগুলো মূলত বিমানবন্দরের রানওয়েতে ভিজিবিলিটি বা দৃষ্টিসীমার ওপর নির্ভর করে ওঠানামা করে। সাধারণত রানওয়ের দৃষ্টিসীমা ৬০০ থেকে ৮০০ মিটার থাকলে ওঠানামা করা সহজ হয়। কিন্তু দৃষ্টিসীমা এর নিচে নামলে ওঠানামা কঠিন হয়ে যায়। তখন অন্য কোনো বিমানবন্দরে গিয়ে উড়োজাহাজ অবতরণ করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের অন্য বিমানবন্দরে কুয়াশার কারণে ফ্লাইট চলাচলে সমস্যা হলেও সিলেটে এ মৌসুমে এখনও এ ধরনের সমস্যা হয়নি।
ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, সিলেটের কোনো ফ্লাইট এ মাসে অন্য কোথাও গিয়ে অবতরণ করেনি। তবে ঢাকার কয়েকটি ফ্লাইট এসে অবতরণ করেছে সিলেটে। পরে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ফ্লাইটগুলো গন্তব্যে চলে গেছে।