Saturday, November 9, 2024
Homeঅপরাধঅনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দোয়ারায় সেচ প্রকল্পের লাইসেন্স বানিজ্য বিএডিসির প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দোয়ারায় সেচ প্রকল্পের লাইসেন্স বানিজ্য বিএডিসির প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

 

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সুনামগঞ্জ জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ

সহকারী প্রকৌশলী কাজী হোসেন আর রাব্বী’র বিরুদ্ধে লাইসেন্স বানিজ্য, সেচ প্রকল্পের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) পর্যন্ত লক্ষীপুর ইউনিয়নের রসরাই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মফজ্জল আলীর পুত্র মহরম আলী সুমন বিএডিসি নির্বাহী প্রকৌশলী সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একাধিক অভিযোগে উল্লেখ করেন

২০১৭ সাল থেকে ভাই ভাই সেচ প্রকল্পের নামে সেচ পাম্প চালিয়ে লক্ষীপুর ও সুরমা ইউনিয়নের হাজার হাজার কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন ধান উৎপাদন করে।

অথচ ভাই ভাই সেচ প্রকল্পের দুটি সেচ পাম্পের স্থানে সুরমা ইউনিয়নের টিলাগাও গ্রামের লাল মিয়ার পুত্র ও একই গ্রামের এখলাছ মিয়াকে সুনামগঞ্জ বিএডিসির কর্মকর্তাগণ নিয়ম বহিভূত টাকার বিনিময়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দুটি লাইসেন্সে দিয়ে ভাই ভাই সেচ প্রকল্পের প্রায় ৩৮ লাখ টার ক্ষতি সাধন করেছে।

অথচ একই স্থানে একাধিক পাম্প দেওয়ার কোন নিয়ম না থাকলেও টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স বানিজ্য করে আসছেন দুই প্রকৌশলী।

এদিকে ভাই ভাই সেচ প্রকল্পের আবেদনের প্রেক্ষিতে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রণজিত কুমার দেব, আদেশ দেন উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ ও সহকারী প্রকৌশলী কাজী হোসেন আর রাব্বি, উপজেলা সেচ কমিটির উপস্থাপন পূর্বক অভিযোগটি নিষ্পত্তির জন্য।

তবুও সেই আদেশ অমান্য করে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে নামে বেনামে নতুন নতুন লাইসেন্স প্রদান করে আসছেন প্রকৌশলীরা।

ভাই ভাই সেচ প্রকল্পের প্রোপাইটার মো. মহরম আলী সুমন বলেন, আমি ২০২০ সাল থেকে সুনামগঞ্জ বিএডিসির কাছে পাম্প সেট ও লাইসেন্স পাওয়ার জন্য চেষ্টা করলে বিএডিসি কতৃপক্ষ মৌখিক ভাবে জানান এখন আমাদের পাম্প সেট নেই।

আপনি বাজার থেকে পাম্প সেট ক্রয় করেন। লাইসেন্স প্রসঙে ও মৌখিক ভাবে বলেন, আপনি যখন টাকা দিয়ে পিডিবির বিদ্যুৎ নিয়েছেন এবং বিদ্যুৎ এর মিটার করে পেলেছেন আমাদের বিএডিসি থেকে আপনার কোনো লাইসেন্স লাগবে না। তাই আমি নিজ খরচে বিদ্যুৎতের মিটার, খুটি, তার ড্রেন তৈরি পাম্প সহ মোট খরচ ৩৮ লাখ টাকা।

অথচ আমাকে লাইসেন্স না দিয়ে আমার ৩টি সেন্টারে নতুন করে লাইসেন্স দিয়ে ৩৮ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন সহ আমার ভাই ভাই সেচ প্রকল্পটিকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যায়।

আমি ক্ষতি পুরণ সহ দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করছি।

লাইসেন্স বানিজ্য ও ঘুষ দূর্নীতি বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপসহকারী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন দুজন আবেদন করলে একজন লাইসেন্স পাবে। নিয়ম হচ্ছে যার জমি আছে সে লাইসেন্স ও পাম্প পাবে। যে না পায় সে সবসময়ই অনিয়ম দূর্নীতির কথা বলবে।

তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রনজিত কুমার দেবে’র দেওয়া উপজেলা সেচ কমিটিতে উপস্থাপন পূর্বক অভিযোগটি নিষ্পত্তির বিষয়ে ও অনিয়ম দূর্নীতি প্রসঙে সহকারী প্রকৌশলী কাজী হোসেন আর রাব্বি’র নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,, জাতীয় নির্বাচন চলাকালীন সময় বিষয়টি জানতে পেরে ভাই ভাই সেচ প্রকল্পের মহরম আলী সুমনকে বলেছিলাম উনার সব ডকুমেন্টস দিতে।

এবং নির্বাচন পরবর্তী উপজেলা কমিটির সামনে বিষয়টি উপস্থাপনের মাধ্যমে কাকে লাইসেন্স দেওয়া যায় তার একটি সিদ্ধান্ত হবে এর আগ পর্যন্ত উনাকে অপেক্ষা করতে হবে। অনিয়ম ও দূর্নীতির বিষয়টি ভিত্তিহীন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments