বিশেষ প্রতিনিধি হবিগঞ্জঃ
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দু পক্ষে প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯শে জানুয়ারি রোজ শুক্রবার সকাল সাড়ে আট ঘটিকার সময় উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের হুকুড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৪ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এতে এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
আরও জানা যায় গত ৫ জানুয়ারি শিবপাশার হুকুড়া মহল্লাবাসীর দাবিকৃত জায়গার ওপর দিয়ে একই এলাকার রাজবাড়ির মিজাজ আলীর ছেলে রুবেল মিয়া তার লোকজন নিয়ে এক্সেভেটর দিয়ে মাটি ভরাট করে একটি রাস্তা নির্মাণ শুরু করেন। পাশে সরকারি একটি রাস্তা থাকায় হুকুড়া মহল্লাবাসী রাস্তাটি নির্মাণ না করতে তাদের বাধা দেন। সংসদ নির্বাচনের পর বিষয়টি সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে নিষ্পত্তির কথা ছিল।
কয়েকদিন আগে হুকুড়া মহল্লাবাসী একত্রিত হয়ে রুবেল মিয়াকে রাস্তা নির্মাণ করতে অনুরোধ করলে তারা তাতে অসম্মতি জানান। এরই জের ধরে সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ চলে শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমগীর হোসেন সহ চার পুলিশ সদস্য ও উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৪ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষে অবস্থানরত আহতদের কে পার্শ্ববর্তী বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার জন্য যান।
এই নিয়ে শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমগীর হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করলে তিনি জানান, শিবপাশা ইউনিয়নের হুকুড়া গ্রামে রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৪ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এতে সে নিজে সহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়।এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদের সঙ্গে ফোনে আলাপ করলে তিনি দৈনিক সিলেটের কাগজের বিশেষ প্রতিনিধিকে জানায়, রাস্তা নির্মাণ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ২৪ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত কোন থানায় মামলা হয়নি।