স্বাস্থ্যসেবা প্রতিদিন:
সবাই কম বেশি জানেন – খাবারের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের নানা হিসাব – নিকাশ করতে হয়। তাদের খাবারে একটু এদিক – ওদিক হলেই বেড়ে যেতে পারে ডায়াবেটিসের মাত্রা। এটা থেকে বেড়ে যেতে পারে আরও অনেক রোগের ঝুঁকি। তাই আগেই সতর্ক হতে হবে খাবারের ক্ষেত্রে। খাবার খাওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, কোনগুলো উপকারী আর কোনগুলো ক্ষতিকর। এভাবে বুঝে – শুনে না খেলে ভুগতে হতে পারে আপনাকেই। তাই এদিকে মনোযোগ দিতে হবে।
এই শীতের সময়ে বাজারে অনেক ধরনের ফল পাওয়া যায়। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সব ধরনের ফল সব সময় খাওয়া চলবে না। কিছু ফল আছে যেগুলো ডায়াবেটিস থাকলে শীতে এড়িয়ে চলতে হবে। অনেকে ভাবতে পারেন যে, ফল মানেই উপকারী। কিন্তু সব ফল ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে উপকারী নয়। উল্টো এটা হতে পারে ক্ষতির কারণ। তো, চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস রোগীরা এই শীতে কোন ফলগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
কমলা :
কমলা টক – মিষ্টি স্বাদের বলে অনেকের কাছেই এটি পছন্দের ফল। কিন্তু ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে এই ফল এড়িয়ে চলতে হবে। কমলায় থাকা মিষ্টি স্বাদ রক্তে সুগারের মাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই যতই পছন্দের হোক, এই ফল থেকে দূরে থাকাই উত্তম ডায়াবেটিস রোগীদের। ভিটামিন সি এর জন্য অন্যান্য টক ফল যেমন লেবু কিংবা জাম্বুরা খেলে সমস্যা হবে না।
কলা :
মিষ্টি জাতীয় ফল কলা সম্ভবত সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়। প্রায় প্রতিদিনই খাবারের তালিকায় কলা থাকে। যদিও এটি শীতের ফল না হলেও শীতের সময়েও পাওয়া যায়। আর ডায়াবেটিস রোগীদের উপকারী ও সুস্বাদু এই ফল এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের কলা না খাওয়াই ভালো। কারণ কলা খেলে বেড়ে যেতে পারে রক্তের শর্করার মাত্রা। সেখান থেকে দেখা দিতে পারে আরও অনেক সমস্যা। তাই কলা থেকে সতর্ক থাকাই উচিত।
আঙুর :
কথায় আছে – আঙুর ফল টক। কিন্তু আঙুর ফল আসলে খুব বেশি টক নয়। বেশিরভাগ আঙুরই বেশ মিষ্টি হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের আঙুরের মিষ্টি স্বাদ ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরাও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরামর্শ দেন আঙুর না খাওয়ার। কারণ, এতে সুগার বেড়ে যেতে পারে দ্রুতই। তাই ডায়াবেটিস থাকলে এই ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।
আম :
আম যদিও শীতের ফল না হলেও অনেকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে বা বারোমাসি আম খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু ডায়াবেটিস থাকলে এই কাজ করা যাবে না। কারণ, আমের মিষ্টি স্বাদ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য হতে পারে বিপদের কারণ। তাই সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে এই ফল থেকে দূরে থাকতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় – একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খাবারের তালিকা তৈরি করে খাওয়া।