ক্রীড়া প্রতিবেদক:
আঙুলের চোট কাটিয়ে ফিরে গতকাল রংপুর রাইডার্সের অনুশীলনে প্রথমবার হাত ঘোরালেন সাকিব।
কখনো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অপরিকল্পিত সূচি, কখনো টুর্নামেন্টে ডিআরএস না থাকা, কখনো-বা বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে বিল্পবী হয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এসব কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটের নামি এই কোচকে বিপিএলের সর্বশেষ মৌসুমে শাস্তি দেয় টুর্নামেন্টের গভর্নিং বডি। বিপিএলের চারটি শিরোপা জেতা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের এই কোচ টুর্নামেন্টের দশম আসর শুরুর আগে গতকাল বলেছেন, ‘চাইলে এই টুর্নামেন্ট অনেক সুন্দর করে করতে পারবেন। অনেক ভালো করেই করতে পারবেন।
২০১২ সালে বিপিএলের যাত্রা হয়েছিল তৎকালীন বোর্ড সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের হাতে। বাকি যে আটটি মৌসুম হয়েছে, তার সব বর্তমান বোর্ডের অধীনে। অথচ এত বছরেও কাঠামো ঠিক করতে পারেনি বিসিবি। উল্টো বিপিএলের নবম আসর থেকে বেড়েছে সূচি জটিলতা।
গত বছরের মতো এবারও যে সময় শুরু হবে বিপিএল, তখন বিশ্বের নানা প্রান্তে আরো পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চলবে। এ কারণে ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার আনতে পারছে না ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বাইরের লিগে খেলার সুযোগ হারাচ্ছেন। এমন সূচির জন্য বোর্ড থেকে ‘সঠিক উইন্ডো’ না পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
সালাউদ্দিন মনে করেন, ‘উইন্ডো ওপেন করা কঠিন কিছু নয়। এটা অনেক সহজ।’
সঙ্গে বিপিএলে সময়সূচি নির্ধারণে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মতামত নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করেন তিনি, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে কেউ বসেওনি। আলোচনা করলে ভালো কিছু বেরিয়ে আসতে পারে।’ তবে এবার ‘কিছু জিনিস নতুন আসছে, এটা ভালো দিক’ বলে মন্তব্য করেন সালাউদ্দিন।
নতুনত্বের মধ্যে এবার শুরু থেকে ডিআরএস নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট বোর্ড। গ্রাফিকস আর টেলিভিশন সম্প্রচারের মান বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে। জানা গেছে, প্রথমবারের মতো ৩৪ থেকে ৩৬টি ক্যামেরা সেটআপে রেজল্যুশন ফোর-কে ইউএইচডি ও ১২জি সিগন্যাল রাখা হবে। তাতে অবশ্য ব্যয় বাড়বে বিসিবির। তবে নবম, দশম ও একাদশ—এই তিন মৌসুমের জন্য ১০৫ কোটি টাকায় সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করেছে। পাশাপাশি তিন আসরের জন্য বিপিএলের টাইটেলসহ স্পন্সরশিপ বিক্রি হয়েছে ১৬ কোটি টাকায়। এর সঙ্গে তিন বছরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ বোর্ড পাবে ৩৫ কোটি টাকা। তবু চ্যালেঞ্জ উতরাতে পারছে না বিসিবি।
আগামী ১৯ জানুয়ারি টুর্নামেন্ট শুরু, অথচ এখনো আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু করতে পারেনি দলগুলো। যে জার্সি পরে মাঠে নামবেন ক্রিকেটাররা, সেই জার্সির লোগো সাইজ কেমন হবে, জার্সিতে কী ব্যবহার করা যাবে আর কী যাবে না, সে তালিকা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো হাতেই পেয়েছে গত শুক্রবার। যে কারণে এখনো জার্সি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি দলগুলো।
একই সঙ্গে এবার চ্যালেঞ্জ জানাবে উইকেট। যদিও গত বুধবার বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম জানান, আইসিসি আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে যে ধরনের করে, এবার বিপিএলে সে রকম দেখা যাবে। তবে এমনিতেই বিপিএলে দিনের ম্যাচগুলো হয় লো স্কোরিং, এর সঙ্গে এবার আবহাওয়া বেঁকে বসেছে। এমনিতেই দিনে দুটি করে ম্যাচ, সঙ্গে এমন আবহাওয়া চলতে থাকলে উইকেট শুকানো সহজ হবে না। প্রকৃতিও যেন চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে বিপিএলকে!