নিজস্ব প্রতিবেদক:::
ডানে-বামে সামনে-পিছে আবর্জনার স্তুুপ আর পাবলিক টয়লেট, তারই মধ্যখানে দাড়িয়ে আছে এলাকার সাধারণ জনগণের অসুখ বিশোক নিরাময়ের প্রাথমিক কারখানা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যান কেন্দ্র।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দাড়িয়ে থাকা স্বাস্থ্যসেবার প্রতিষ্ঠানে আর কিইবা সেবা দিবে আমাদের এমনই মন্তব্য প্রক্যদর্শী এক প্রতীকের।
বলছিলাম সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা তোয়াকুল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের কথা।
তোয়াকুল ইউনিয়ন পরিষদের ৫০গজ উত্তরে তোয়াকুল শাহী ঈদগাহ এর গেইটের সামনে ও তোয়াকুল টু পীরের বাজার রাস্তার ডান পাশে অবস্থিত এই জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
তারই ১০০গজ উত্তরে অবস্থিত তোয়াকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রতি ওয়াক্তের মুসল্লীরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রসংলগ্ন পাশের পুকুরে অজুকরে ঈদগাহে নামাজে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় নাক চেপে ধরতে হয়, নাক চেপে ধরতে প্রায়ই দেখা যায় স্কুল গামী কঁচি ছাত্রছাত্রী দের। আবর্জনার স্তুপ থেকে আসা অসয্য গন্ধের কারনে।
স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা প্রতিদিনের রোগীরা এনিয়ে মন্তব্য কিংবা স্বাস্থ্যকর কেন্দ্রের পরিবেশ নিয়ে মাতাঘামানোর সময় নেই কাঙ্ক্ষিত জরুরি সেবায় নিয়ে মগ্ন থাকেন তারা।
এই ইউনিয়নের স্থানীয় হাটবাজারের মধ্যে তোয়াকুল বাজারই প্রধান আর এই বাজারেই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থান। এবাজরে প্রতিদিনই হাটবসে, তারমধ্যে সপ্তাহে দুইদিন বড় হাট বসে এখানে। বাজারের উৎকৃষ্ট ময়লা মাছবাজার ও কাঁচাবাজারে প্রতিদিনের পচাঁ ময়লার সাথে পলিতিনের স্তুপ সহ বাজার ঝাড়ুদিয়ে সকল ময়লা ফেলা হয় তোয়াকুল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের প্রবেশ গেইটের ডানে বামে ও পিছনের দরজার নিকটে। পিছনের দরজার পাশেই রয়েছে পাবলিক শৌচাগার। এখানে থাকা মাছি-মাশা হাসপাতালে যাওয়া আসা করে এতেকরে এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা আরো বেশি অসুস্থতার ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফেরার সম্ভাবনা থাকে যায়।
বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারনসম্পাদক মাস্টার নূরুল হকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান ” আমাদের অজান্তে কেবাবাকারা এখানে ময়লা ফেলে তবে তাৎক্ষণিক আমরা এ যায়গা পরিষ্কার করাচ্ছি এবং এর একটি সুষ্ঠু ব্যবস্তাপনায় যাচ্ছি”
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কিশলয় শাহা’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ” মাস খানেক আগে তিনি সরজমিনে অবগত হন এবং কেন্দ্র দ্বায়িত্বরত গন তিনাকে জানান হাসপাতাল আঙ্গিনায় বাজারে ময়লা এটা সাময়িক এবং খুব শীগ্রই এটা পরিষ্কার হবে। এখনো ময়লা ফেলা জানলে তিতি বলে আগামীকালই আবার আমি কেন্দ্র পরিদর্শন করে বাজার কমিটির ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে বসে এই সমস্যার সামাধান করব। প্রয়োজনে ইউএনও’এর সাথে আলাপ করবেন তিনি”
তিনি আরো বলেন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাউন্ডারী দেয়াল নাথাকায় সহজেই এমনটা হচ্ছে।
কেন্দ্রে কর্তব্যরত ফার্মাসিস্ট দেলোয়ার হোসেনের বলেন ” বাউন্ডারি দেয়াল নাথাকায় আমাদের অদেখাতে প্রায় তারা ময়লা ফেলায় পরিবেশটা খুব বিশ্রী দেখায় আমরা এর একটি সুষ্ঠু সামাধান চাই”
স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সেবার মান নিশ্চিত কারনে সাথে সাথে এই প্রতিষ্ঠানের পোষাক অর্থাৎ তার আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যকর করে তুলার দাবী এলাকার সচেতন নাগরিকগনের ।