Friday, November 8, 2024
Homeসিলেট বিভাগসুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে তথ্য গোপন ও জালিয়াতি করে ইজারা দাখিলের অভিযোগ

সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে তথ্য গোপন ও জালিয়াতি করে ইজারা দাখিলের অভিযোগ

 

সাজ্জাদ মাহমুদ মনির, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি::

সুনামগঞ্জের ছাতকে তথ্য গোপন ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে “পাগনা বড় বিল” জলমহল উন্নয়ন প্রকল্পে ৩১ বাংলা হতে ৩৬ বাংলা পর্যন্ত সোনার তরী সমিতি ও আশার আলো সমিতি ইজারা দাখিলের অভিযোগ উঠেছে এদুই সমবায় সমিতির বিরোদ্ধে।

জানা যায়, উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নে “পাগনা বড় বিল” জলমহাল উন্নয়ন প্রকল্পে ১৪৩১ বাংলা হইতে ১৪৩৬ বাংলা পর্যন্ত ইজারা নেওয়ার জন্য সোনার তরী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ, আশার আলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ ও হরিনগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ এই ৩টি সমবায় সমিতি ভূমি মন্ত্রনণালয়ে আবেদন করে।

আবেদনে সমিতি গুলোর মধ্যে সোনার তরী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি ও আশার আলো মৎস্যজীবী সমবায় বহু তথ্য জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুল, অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ব্যবস্থাপনা ২০০৯ জলমহাল নীতিমালার বিরুদ্ধে আবেদন করে। যা সরকারি ইজারা পাওয়ার অযোগ্য। এছাড়াও জলমহাল নীতিমালার (৯ অনুচ্ছেদ) ভঙ্গ করে সাবলীজ হস্তান্তর কারীর লীজমানি বাজেয়াপ্ত করার কথা থাকলেও পূণ:রায় সোনার তরী সমিতিকে লীজ দেয়ার পঁয়তারা হচ্ছে বলে হরিনগর সমবায় সমিতির সভাপতি মিছবা উদ্দীন ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। যার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনকে অবহিত করে।

এদিকে, জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে সোনার তরী সমিতির সভাপতি মিরাশ আলী জলমহাল ব্যবস্থাপনা ০৯ নীতি মালা (৯ অনুচ্ছেদ) ভঙ্গ করে ১৪২৫বাংলা হতে ১৪৩০ বাংলা সন মেয়াদে ইজারা নিয়ে ভাতগাঁও ইউনিয়নের ছাতারপই গ্রামের মৃত আইন উদ্দিনের পুত্র মো. মোজাক্কির আহমদের কাছে সাব-লীজ প্রদান করেন। যার, নীতি মালা (৯ অনুচ্ছেদ) ভঙ্গকারী আগামী ৩বছর ইজারায় অংশগ্রহনে অযোগ্য বলে বিবেচিত হওয়ার কথা থাকলেও অলৌকিক কারনে সেই শর্ত ভঙ্গের দ্বায় এড়িয়ে লীজ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। এছাড়াও নীতিমালার শর্ত অনুযায়ী জলমহাল খনন উন্নয়ন কার্য, বৃক্ষরোপন ও মাছের অভয়াশ্রয় করার কথা থাকলেও সোনার তরী সমিতি তাও করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে, আশার আলো সমিতির দাখিলকৃত আবেদনের মধ্যে অনেক সদস্য অমৎস্যজীবী, মৃত, প্রবাসী ও ব্যবসায়ী। তারমধ্যে রয়েছেন, মৃত ব্যক্তি জানুর আলী, প্রবাসী সাহেব আলী, মো. আব্দুল খয়ার ব্যবসায়ী। এছাড়াও সমিতিতে ভুল সদস্যর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা সেই সদস্যরাই জানে না। এগুলো ছাড়াও কিছু সদস্যের নাম প্রকল্পে মৎস্যজীবী হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। যার প্রকৃত অর্থে তারা মৎস্যজীবী হলেও তাদের নাম সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। অনেকেই মৎস্যজীবি কার্ড হারিয়ে গেছে মর্মে জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে মৎস্য কার্ড হারানোর চলতি বছরের আগষ্টের ১৫তারিখে জিডি করেন আব্দুল কাবির, আবুল ইসলাম ছাড়াও আরো অনেকেই।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments