নিজস্ব প্রতিবেদক:
শীতকালীন ফলমূলে ভরপুর সিলেটের বাজার। বিভিন্ন প্রকারের আপেলকুল, জলপাই, কমলাসহ নানা রকমের ফলমূলে সয়লাব বাজারগুলো। তবে সিলেটের বিভিন্ন বাজারে কমলার চেয়ে কেনু কমলায় সয়লাব হয়ে পড়েছে। আর কমলার নামে কেনু কমলা কিনে প্রতারিত হচ্ছেন সিলেটের মানুষ।
কমলালেবু,
শীত কালে আমরা সাধারণত পানি কম খাই। এতে আমাদের হজমের সমস্যা দেখা দেয়। কমলা লেবুতে পানি থাকায় বিপাকে সাহায্য করে। এতে বিদ্যমান সাইট্রিক এসিড শরীরের অতি’রিক্ত মে’দ কমাতে সাহায্য করে।
কমলা লেবু ভিটামিন সি দিয়ে ভরপুর থাকে যা আমাদের ত্বকের জন্য লাভদায়ক হয়ে ওঠে। এরকম অনেক সমস্যা আছে যাতে কমলালেবুর ব্যবহার করা যায়, এর ফলে আপনার ত্বক ফর্সা এবং চমৎকার হয়ে উঠতে সাহায্য পায়। কমলা লেবুর রস কে হলুদ গুঁড়ো সাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণকে ভালো হবে চালিয়ে নিন যাতে একটি পেস্ট তৈরি হয়ে যায়। এবার এই পেস্ট কে আপনি ত্বকের উপর লাগান এবং সারা রাতের জন্য এরকম ভাবেই রেখে দিন। সকালে আপনার ত্বককে উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে দিন। ভালো ভাবে উপকার পাওয়ার জন্য আপনি এই পদ্ধতি প্রত্যেকদিন ব্যবহার করতে পারেন।
কমলা সাধারণত শীতকালে বের হয়। কিন্তু নগরীর প্রতিটি বাজারে দোকানীরা ও ভাসমান ফল বিক্রেতারা কমলার পরিবর্তে কেনু কমলা বিক্রি করছেন বেশি। কমলা ও কেনু কমলার কালার দেখতে প্রায় একই। দোকানীরা কেনু কমলাকে কমলা বলে বিক্রি করতে দেখা যায় প্রতিদিন। অনেক ক্রেতারা যা সহজে বুঝেন না।
কমলার খোসা সাধারণত সহজে ছুটে আসে, কমলা লেবু একটি রসালো ও সুস্বাদু টাটকা ঘ্রাণ যুক্ত ফল। কিন্তু কেনু কমলার খোসা সহজে ছুটে না। কেনু কমলার চেয়ে কমলার স্বাদ অনেক মজা।
সিলেট নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় কেনু কমলায় সয়লাব হয়ে পড়েছে। নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ভাসমান ফল বিক্রেতারা কেনু কমলাকে কমলা বলে দেদারছে বিক্রি করছে। যা আসল কমলা নয়। ভারতের শিলচর থেকে এসব কেনু কমলা সিলেটের কয়েকটি বর্ডার দিয়ে আসে।
গ্রামাঞ্চল থেকে শহরে আসা মানুষদের টার্গেট করে বিক্রেতারা। বিক্রেতারা তাদের কাছে কেনু কমলাকে কমলা বলে বিক্রি করতে দেখা যায় প্রতিনিয়ত। বাজারে কেনু কমলা কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা ও অরজিনাল কমলা প্রতি কেজি ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
যেভাবে চিনবেন কমলা না কেনু
কমলার খোসা সহজে ছুটে আসে। কমলার কালার একটু ভিন্ন রকমের। দেখতে একটু ফুলা লাগে। আর কেনু কমলার খোসা একেবারে মলিন। খোলস অনেক ঘাড়। রং দেখতে চকচকে। হাত দিয়ে খোসা সহজে ছুটবে না।