স্বাস্থ্যসেবা প্রতিদিন:
শীতে বাড়ে মানবদেহের ত্বক এবং চুলের নানা সমস্যা। এই সময়ে তাই ছোট বড় নানা সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেই সঙ্গে তারা নজর রাখতে বলেন ডায়েটেও। কারণ শীতকালীন নানা ফল ও সবজি যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে ত্বক ও চুলের একাধিক সমস্যা দূর করা যায়। তাই প্রতিবেদনে এমন কিছু ফলের উল্লেখ করা হলো, যেগুলো প্রতিদিন খেলে পার্থক্য দেখতে বোঝা যাবে কয়েক সপ্তাহে।
জেনে নেওয়া যাক ফলগুলোর নাম :
ত্বক ও চুলের প্রয়োজন ভিটামিন – ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে অনেকেই নানা দামি দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। কিন্তু শরীরের ভেতরে যদি সঠিক পুষ্টির ঘাটতি থেকেই যায়, তাহলে হাজার যত্ন নিলেও কোনও লাভ হবে না।তাই প্রথমেই শরীরের ভেতরে ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে। এতে সুস্বাস্থ্যও বজায় থাকবে। সেই সঙ্গে ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতাও হবে দেখার মতো। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এখন জেনে নেওয়া যাক এই শীতে কোন কোন ফল খেতেই হবে।
পাতে রাখুন কমলা :
এই ফল শরীরের জন্যে খুব উপকারী। ভিটামিন সি’তে ঠাসা এই লেবু শরীর ভালো রাখে, সেই সঙ্গে ত্বকের জেল্লা বাড়ায় প্রতি মুহূর্তে। শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ হলে স্ক্যাল্পের ভেতরে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ে। ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। এছাড়াও কমলাতে ভিটামিন বি১, ফোলেট, ক্যালশিয়াম ও পটাশিয়াম পাওয়া যায়। আর এই প্রতিটি উপাদানই ত্বক ও চুলের জন্যে বেশ উপকারী। সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে একটি কমলা খাওয়া যেতে পারে।
আপেল খেলে রোগ থেকে দূরে থাকা যাবে :
আপেলের উপকারিতা যে প্রচুর, সে কথা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। এই ফলের গুণে ত্বকের একাধিক সমস্যা থাকে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে চুলের বৃদ্ধিও হয় দেখার মতো। আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। এদিকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের ফ্রিব়্যাডিকালস বের করে দেয়। তাই ত্বক ও চুলের জেল্লা হয় দেখার মতো। ব্রেকফাস্টের পরে একটি আপেল খাওয়া যায় প্রতিদিন।
বেরি খেতে যেনো ভুল না হয় :
শীতকালীন ডায়েটে বেরি জাতীয় ফল রাখা যায়। এই ফল শরীর ভালো রাখবে। সেই সঙ্গে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যও বজায় রাখবে। বেরিতে উপস্থিত একাধিক ভিটামিন ও মিনারেলই ম্যাজিক দেখাবে প্রতিদিন। তাই দিনের যে কোনও সময়ে কয়েকটি বেরি খাওয়া যেতে পারে।
দিনে কয়টি ফল খেতে হবে : আপনি প্রতিদিন একটি করে ফল খাওয়া যায়। তাহলেই উপকার পাওয়া যাবে।
সন্ধ্যার পরে কমলা খাওয়া যায় : এই ফল সকালের দিকে খাওয়াই ভালো। সন্ধ্যার পরে অ্যাসিডিক ফল না খাওয়ার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
সবাই খেতে পারেন এসব ফল : এই ধরনের ফল খেলে সাধারণত কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু কেউ যদি কোনও নির্দিষ্ট ডায়েট থাকেন, তাহলে ফল খাওয়ার আগে একবার পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া ভালো।