বিশেষ প্রতিনিধি:
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার ঘিরে ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলমগীর বলেন, নির্বাচনি ডামাডোলে সবাই ব্যস্ত। প্রচার ঘিরে ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। বাংলাদেশে সব নির্বাচনে এ ধরনের ‘ঐতিহ্য’ রয়েছে, এটা ব্যতিক্রম না।
তিনি দাবি করেন, নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থী ও তার সমর্থকদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। এসব পদক্ষেপে সব জায়গায় ‘কঠিন বার্তা’ যাচ্ছে।
আলমগীর বলেন, বিভাগীয় ও জেলা সফরে বলা হয়েছে- পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠিন থাকতে হবে।
প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাত্রা দেখে শাস্তি নির্ধারণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ছোট আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য বড় শাস্তি দেওয়া যাবে না, আবার বড় আচণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ছোট শাস্তি দেওয়া যাবে না। এটা যথাযথ হতে হবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। ভোটের প্রচারে নামার পর থেকে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। মাদারীপুরে হামলার শিকারের পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
এসব সহিংসতার ঘটনায় ইসি প্রার্থিতা বাতিলের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে আগের দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের আলমগীর বলেন, বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জড়িতদের ব্যাপারে প্রতিবেদন আসার পর বিচার বিশ্লেষণ করা দেখা হবে। প্রতিবেদনে কী এলো তা দেখে সিদ্ধান্ত হবে।
প্রার্থিতা বাতিল নিয়ে আনিছুরের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, যিনি বলেছেন তাকেই জিজ্ঞাসা করতে হবে। আমি তো এমন কথা বলতে পারি না। রিপোর্টই তো হাতে আসেনি। রিপোর্ট পেলে আমরা বসব, আলোচনা করব, দেখব।
আলমগীর আরও বলেন, রিপোর্ট আসার পরই তো একজন প্রার্থীর কথাও শুনতে হবে আইন অনুযায়ী; তাকেও আমাদের ডাকতে হবে, ‘আপনার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আছে আপনার বক্তব্য কী?’ তারপর যাচাই-বাছাই করতে হবে।
নির্বাচনি এলাকায় সহিংসতার সঙ্গে প্রার্থীদের শোকজ ও মামলা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে নরসিংদী, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী এলাকায় এমন তথ্য রয়েছে।
‘শোকজ রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার করছে, নির্বাহী বিচারিক হাকিমের কমিটি করছে। ইসির পক্ষ থেকে সরাসরি শোকজ করছি না দুয়েকটা ছাড়া। মাঠে শোকজ করার পর জবাব দিচ্ছে, এসব প্রতিবেদন আসছে ইসিতে। কোনো ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে একাধিকবার, গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে আদালতেও পাঠানো হয়েছে।