দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বাইসাইকেল চালানো কে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলায় চোখে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত তৈয়ব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। এসময় ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের দাবী করেন পরিবারের লোকজন।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে জানা যায়, গত ১৪ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাও ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে সাইকেল ভাংচুর কে কেন্দ্র করে রাধানগর গ্রামের আবুল কালামের পক্ষ তৈয়ব আলীর পক্ষের উপর অতর্কিত হামলা করে তৈয়ব আলী সহ ৪জনকে গুরুতর আহত করেন। এতে ৩ জন চিকিৎসায় উন্নতির পথে থাকলেও তৈয়ব আলীর চোখের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। এসময় তার ছেলে মোঃ শারু মিয়ার দায়ের করা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান পরিবারের পক্ষ থেকে।
স্থানীয় রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা, ইছন আলী, আব্দুল ওয়াহাব, আব্দুল ছোবহান, আব্দুল কদ্দুছ, আব্দুল কাইয়ুম, জানান তৈয়ব আলীর পক্ষ ও আবুল কালামের পক্ষ পরস্পর আত্মীয় স্বজন। সাইকেলের মতো সামান্য বিষয় নিয়ে কালামের লোকজন তৈয়ব আলীর পরিবারের লোকজনদেরকে এভাবে মারপিট করবে এটা কল্পনা করার মতো নয়। আজ তৈয়বের চোখে এতটা আঘাত প্রাপ্ত অন্ধ হওয়ার পথে। তাই আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানাই।
মামলার বাদি শারু মিয়ার বলেন আমি খুবই নিরুপায় আমার প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়িতে এসে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আমার বাবার চোখে গুরুতর আঘাত করে। আমার মাথায়, হাতে শরীরে আঘাত করেছে। আমার ভাবিকে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে। ছোট ভাই বোন ও ভাগ্নাকে আঘাত করার পরও আমার পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন তারা।
আবুল কালাম বলেন, আমার ছেলে শরীফ (১৩) বাই সাইকেলটি তৈয়বের ছেলে শারু ভেঙে ফেললে, উভপক্ষের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয় এতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হন। দুইপক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়েছে। পান্ডারগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ বলেছেন দুনু পক্ষ একে অপরের নিকট আত্মীয় অনেক চেষ্টা করেও শালিস বৈঠকে আনতে পারিনি।আইনে যা করবে তাতেই আমার ইউনিয়ন বাসী খুশি।
দোয়ারাবাজার থানার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই সুমন বলেন দুপক্ষ ২ টি অভিযোগ করেছেন, এতে তৈয়ব আলীর ছেলে শারুর মামলা রেকর্ড ভুক্ত করা হয়েছে।