বিশেষ প্রতিনিধি:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক এমপি সেলিম উদ্দিন (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা সভাপতি সরওয়ার হোসেন (ঈগল) প্রতীক নিয়ে।
বর্তমানে ভোটের মাঠে হেভিওয়েট এ দুই প্রার্থী পুরো নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তুলে ধরছেন বিগত ১৫ বছরের এমপির ব্যর্থতা। বন্যার মতো দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে বর্তমান এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদ এলাকায় ছিলেন না। এমনকি খোঁজখবরও নেননি এ দুই উপজেলার মানুষের। এমন বক্তব্য তুলে ধরে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তারা।
আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রতি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। তিনি ভোটারদের বলছেন-আপনারা প্রতীক দেখে নয়, ব্যক্তি দেখে ভোট দেবেন।
এদিকে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আতাউর রহমান আতা ও ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থী সাদিকুর রহমানের প্রচারণা চলছে একেবারে ঢিমেতালে। দুই চারটি পোস্টার ও কয়েকটি ফেস্টুন ছাড়া তাদের আর কোনো প্রচারণা চোখে পড়ছে না।
হেভিওয়েট প্রার্থীদের প্রভাবে নৌকা এখন ডুবো ডুবো অবস্থা। বর্তমানে ভোটের মাঠে বেকায়দার মধ্যে রয়েছেন নৌকার প্রার্থী। দুই উপজেলায় বিভক্ত আওয়ামী লীগের ভোটারদের সায় পাচ্ছেন না তিনি।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে টানা তিনবার জয়লাভ করে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর শিক্ষামন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হন তিনি। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যের পদ ভাগিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট এ প্রার্থীর সঙ্গে এবার লড়ছেন আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী কানাডা আ.লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট জেলা আ.লীগের সদস্য সরওয়ার হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে। হেভিওয়েট প্রার্থী হিসাবে পরিচিত তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী (বীরবিক্রম) গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা চষে বেড়াচ্ছেন।
দফায় দফায় এলাকাবাসীদের নিয়ে উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভা, লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করছেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তজার্তিক বিষয়ক উপদেষ্টা, সাবেক বিরোধীদলীয় হুইপ ও এমপি সেলিম উদ্দিন লড়ছেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে। হেভিওয়েট এসব প্রার্থী দিনরাত নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।