বিশেষ প্রতিনিধি:
সিলেটসহ দেশের বিভিন্নস্থানে রেলের বগিতে আগুন, রেল লাইন কেটে ফেলাসহ নানা ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীরা শঙ্কা ও অস্বস্তি নিয়ে রেলে চলাচলে করছেন। যাত্রীদের সুরক্ষা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রেলের সুরক্ষায় মাঠে কাজ করছে র্যাব। নজরদারিসহ নিয়মিতভাবে রোবাস্ট পেট্রল পরিচালনা, তল্লাশি চৌকি বসিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাহিনীটি।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টায় সিলেট নগরের দক্ষিণ সুরমায় সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে প্রেস ব্রিফিং করে এসব বিষয়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে অবগত করেন র্যাব-৯ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক (জিডি-পি)।
তিনি বলেন, ‘র্যাব-৯ এর আওতাধীন সিলেট বিভাগের চার জেলা- সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রেলস্টেশনগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া রেলস্টেশনগুলোতে নিয়মিতভাবে রোবাস্ট পেট্রল পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘নাশকতাকারী ও দুষ্কৃতকারীরা যেন কোনো প্রকার দাহ্য পদার্থ, নাশকতা ও বিস্ফোরকদ্রব্য কিংবা অবৈধ মালামাল যেমন- মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র ইত্যাদি বহন করতে না পারে সেজন্য এ পাঁচ জেলার রেলস্টেশন এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিভিন্ন সময় ধারাবাহিকভাবে চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে র্যাব-৯।
র্যাব-৯ এর অধিনায়ক বলেন, ‘ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তার অংশ হিসেবে রেলস্টেশন এবং বিভিন্ন ট্রেনে র্যাব-৯ এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিয়মিত সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি যে কোনো ধরনের নাশকতা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টেশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে র্যাব-৯।’
এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় ও তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে ট্রেন যাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিতে র্যাব-৯ কাজ করছে বলে তিনি জানান।
প্রেস ব্রিফিং শেষে সিলেট স্টেশনে অপেক্ষমান ট্রেনে এবং প্লাটফর্মে র্যাব-৯ এর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করে।