Friday, November 8, 2024
Homeরাজনীতিআওয়ামীলীগসভা-সমাবেশের বিষয়ে ইসির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে মন্ত্রণালয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সভা-সমাবেশের বিষয়ে ইসির নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে মন্ত্রণালয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি:

আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনি প্রচারণা ছাড়া কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ না করার যে নির্দেশনা নির্বাচন কমিশন (ইসি) দিয়েছে, সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

 

বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

 

সাংবাদিকরা মন্ত্রীর কাছে জানতে চান যে, নির্বাচনের প্রচার শুরুর পর থেকে ভোটের আগে পর্যন্ত যেকোনো দলের সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি না দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। গণতান্ত্রিক দেশে এটা সঠিক কিনা, এটা সংবিধান পরিপন্থি হচ্ছে কিনা?

 

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো অতি সাধারণ বিষয়। একটা বিশেষ সময়, একটা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি দল যার যার প্রার্থী নিয়ে তাদের প্রচার-প্রচারণা করবে, সেই সময় এই দল সেই দল মুখোমুখি হতেই পারে যাতায়াতের পথে। সেখানে যদি আবার আরেকটা নতুন দল নির্বাচন ছাড়া অন্য কথা বলে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে ব্যাঘাত হতেই পারে।’

 

আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, নির্বাচনে যাতে ব্যাঘাত না হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশন তার অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন এটাই আমরা বুঝি। তার (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি যেটা মনে করেছেন, আমি মনে করি সেটা যথার্থই মনে করেছেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে যাতে নির্বাচন হয় আমার মনে হয় এজন্যই নির্দেশনাটা দিয়েছেন।

 

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে। এতে ইসি বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত নির্বাচনি কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এরূপ কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্ছনীয়। এ অবস্থায় আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য সব প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments