Sunday, November 24, 2024
Homeবিনোদনলাইফস্টাইলবৃষ্টির কারণে কমছে তাপমাত্রা, নামছে শীত

বৃষ্টির কারণে কমছে তাপমাত্রা, নামছে শীত

বিশেষ প্রতিনিধি:

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। বয়ে যাচ্ছে ঠাণ্ডা বাতাস। লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে ভারতের উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি বন্ধ হলেও আকাশ মেঘলা থাকবে। টানা বৃষ্টির কারণে কমবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা।

 

রোববার থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে, যা মাসের শেষদিকে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে বর্ষার অস্বাভাবিক আচরণে এবার শীত প্রায় স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে বা একটু বেলা বাড়লেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বর্তমানে এটি গুরুত্বহীন মনে করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

 

আজ বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামীকাল সকালের মধ্যে তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কেবলমাত্র রাতের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।

 

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।

 

তিনি বলেন, আমরা মনে করছি, তাপমাত্রা কমতে কমতে চলতি মাসে একবার বা দুবার দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যেতে পারে। এটি ডিসেম্বরের শেষে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষভাগেই কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।

 

আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ডিসেম্বরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকবে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে পূর্ব-দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে।

 

দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

 

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, এবার শুরু থেকেই বর্ষার আচরণ আনইউজুয়াল। সেই কারণে আমরা মনে করছি, শীত যেমন পড়ার কথা তেমন পড়বে না। তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকবে।

 

সাধারণত জুন-জুলাই মাসে প্রচুর বৃষ্টি হয়। এবার বাংলাদেশে এই দুই মাসে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল তুলনামূলক কম। অক্টোবর-নভেম্বরে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

 

অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অক্টোবরে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩৫ দশমিক এক শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছিল। নভেম্বরে চার বিভাগে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় সার্বিকভাবে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬৫ দশমিক আট শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

 

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর চাঁদপুরে দৈনিক সর্বোচ্চ ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments