বিশেষ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে টানা দুবারের সংসদ-সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর আয় ও সম্পদ ৮ গুণ বেড়েছে। তবে তার স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ২৫ গুণ। আগে তার ওপর নির্ভরশীলদের কোনো সম্পদ না থাকলেও এখন তাদের নামে পৌনে ২ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। সম্পদের তালিকায় নতুন করে চা বাগান, রাবার বাগান ও মৎস্য খামার যুক্ত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব আলীর দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এমন সব তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার জয়ী হয়ে মাহবুব আলী বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ২০১৪ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল ৮ লাখ ৫৮ হাজার ১৫৮ টাকা। এর মধ্যে কৃষি থেকে ৫৫ হাজার ৬০০, বাড়ি ভাড়া ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৫৮ এবং আইন পেশায় ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা আয় হয়। ২০২৩ সালের হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ৩৬ লাখ ১৮ হাজার ৫৮৬ টাকা দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে কৃষি খাতে ৮০ হাজার, বাড়ি ভাড়া ২ লাখ ২৫ হাজার, ব্যবসা ৭ লাখ ৬৫ হাজার; শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংকে জমা ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৬ টাকা এবং সংসদ-সদস্য হিসাবে প্রাপ্ত ভাতা ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৯ হাজার ১১৮ টাকা। এতে রয়েছে নগদ ৩ লাখ ৫০০, ব্যাংকে জমা ৩ কোটি ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬১৮ টাকা, ১ কোটি ২ লাখ ২০ হাজার টাকার দুটি মোটরগাড়ি, ৫ লাখ টাকার ইলেকট্রিক পণ্য ও ৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র। আছে ৩০ ভরি স্বর্ণ। তার স্থাবর সম্পত্তি হিসাবে দেখানো হয়েছে ৫০ লাখ ৭২ হাজার ৩৭০ টাকা। এর মধ্যে কৃষিজমি ২৪ বিঘা ৪ লাখ টাকা, ৪তলা বিশিষ্ট ভবন ৩৬ লাখ, চা বাগান, রাবার বাগান ও মৎস্য খামার ১০ লাখ ৭২ হাজার ৩৭০ টাকা।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী স্ত্রীর আয়ের কোনো উৎস নেই। কিন্তু তার সম্পদ ২৫.২৯ গুণ বেড়েছে। তার অস্থাবর সম্পদ হিসাবে দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ ৫৩৫ টাকা। এর মধ্যে নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০০, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৩৫ টাকা, ৫ লাখ টাকার ইলেকট্রিক পণ্য, ৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র। এর বাইরে আছে ৩০ ভরি স্বর্ণ। এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে স্থাবর সম্পত্তি। এতে দেখানো হয়েছে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৭০০ টাকার চা বাগান, রাবার বাগান ও মৎস্য খামার। নির্ভরশীলদের নামে আগে কোনো সম্পদ ছিল না। এবার দেখানো হয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ৬৭ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৬ টাকা।