দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন ও কারাবন্দী নেতাদের মুক্তির দাবিতে ফের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। ২৮শে অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে দশম বারের মতো কর্মসূচীর ডাক দিল দলটি।
২৮শে অক্টোবরের বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২৯ অক্টোবর হরতাল দিয়ে এই কর্মসূচীর শুরু হয়। তবে বিএনপির ডাকা হরতাল অবরোধে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় কোনো কর্মসূচী দেওয়া হচ্ছে না। এর বাইরে সপ্তাহে চারদিন রবি, সোম, বুধ, বৃহস্পতিবার কর্মসূচীর ঘোষণা দিলেও মাঝখানে মঙ্গলবার তারা কোনো কর্মসূচী দিচ্ছে না।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মজা করে মঙ্গলবারকে নতুন নাম দিয়েছেন অবরোধবার বলে। আবার অনেকেই বলছেন হরতাল-অবরোধের সাপ্তাহিক ছুটি মঙ্গলবার।
মঙ্গলবার কেনো বিএনপি হরতাল কিংবা অবরোধ কর্মসূচী দিচ্ছে না জানতে চাইলে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, মঙ্গলবার বিরতি দেওয়া হয় কেননা সাধারণ মানুষের কিছু জরুরি কাজ থাকে এই বিরতির দিনে তারা সেই কাজ যেন করতে পারেন। অতীতে আমাদের নিরবচ্ছিন্ন কর্মসূচী দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে, ফলে আমরা দেখেছি এসব কর্মসূচী মানুষের জনজীবনে প্রভাব ফেলে। আমাদের জরুরি কাজ থাকে ডাক্তার দেখানো , ব্যাংকের কাজ থাকে এই একদিনে যাতে মানুষ তাদের সেই কাজ সম্পন্ন করতে পারেন তাই আমরা মঙ্গলবার কর্মসূচী দেই না। এর বাইরে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার কোনো কর্মসূচী দেই না।
গত ২৮শে অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট দশবার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। প্রথমদিকের কর্মসূচীতে যান চলাচল অনেকটা বন্ধ থাকলেও ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। মধ্য নভেম্বরের পর থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের হরতাল-অবরোধের প্রভাব কমে আসতে থাকে। তবে এসব কর্মসূচী চলাকালীন সময় বা তার আগের দিন সন্ধ্যা থেকে রাতের সময় গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
এদিকে বিএনপির চলমান কর্মসূচীর মধ্যেই দ্বাদশ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার পর নির্বাচনমুখী দলগুলো তাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে। এখন নির্বাচন কমিশন প্রার্থী তালিকা যাচাই বাছাই শেষে অনেকেই বাদ পড়েছেন। যারা বাদ পড়েছেন তারা প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করছেন।