খেলাধুলা প্রতিদিন:
প্রথম ম্যাচের চেয়ে এদিন আরও ধারালো বাংলাদেশ দল। কিন্ত সিঙ্গাপুরের খেলায় তেমন পরিবর্তন নেই। জার্মানির বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে খেলেন তাদের স্ট্রাইকার ড্যানেলি। যিনি প্রথম ম্যাচে ছিলেন।
আজ খেললেন শুরুতেই। কিন্তু দলের অন্যদের চেয়ে তাঁকে আলাদা করা যায়নি। এদিকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা খেলোয়াড় যেন দ্বিগুণ ভাল খেলেছেন প্রথম ম্যাচের চেয়ে। স্কোরলাইনে সেটাই প্রতিফলিত, এবার জয়ের ব্যবধান যে ৮-০।
র্যাংকিংকে মাঝে মাঝে মনে হয় তামাশা। সিঙ্গাপুরের ১০ ধাপ এগিয়ে থাকা এই ম্যাচে সেটাই মনে করিয়েছে। তহুরা খাতুনের সঙ্গে এদিন জোড়া গোল ঋতুপর্ণা চাকমার। নপ্রথম ম্যাচের মত এদিনও গোল পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের।
১৭ মিনিটে আগের ম্যাচের জোড়া গোলদাতা তহুরা খাতুনই করেছেন প্রথম গোলটি। ডান দিক থেকে সাবিনার ফ্রিকিক ছিল। মাসুরা পারভীন ভলিতে বল বক্সে রাখেন, সেই বলে আফিদা খন্দকারের হেড পোস্টের কাছে থাকা তহুরার কাছে গেলে আরেক হেডে তিনি তা জালে জড়িয়ে দিয়েছেন। সিঙ্গাপুর এই ধাক্কা সামলানোর আগেই দ্বিতীয় গোল হজম করে। এবার ঋতুপর্ণা বল জালে ঠেলেন সাবিনার কর্ণারে।
এদিন প্রথমার্ধেই সাইফুল বারীর দল এগিয়ে যায় ৩-০ তে। ২৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেছেন তহুরা। সানজিদা আক্তারের ক্রসে ঋতুপর্ণার জোরালো শট সিঙ্গাপুর গোলরক্ষক হাতে জমাতে পারেননি, ফিরতি বল তহুরা জালে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরও বাড়ানোর পালা। সেটাই করেন সাবিনারা। এবার গোল পান সানজিদা। ঋতুপর্ণার ক্রসে তহুরার শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে বাঁদিক থেকে কোনাকুনি শটে সেই বল পোস্টে ঢুকিয়েছেন এই উইঙ্গার। ৬২ মিনিটে ঋতুরই অসাধারণ আরেক গোল, বক্সে ঢুকেই বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেছেন তিনি প্রথম পোস্ট দিয়ে। ব্যবধান তাতে ৫-০ হয়ে যায়। সেটি হাফ ডজন হয়, সানজিদার বদলে শামসুন্নাহার জুনিয়র মাঠে এলে। বাঁ দিক দিয়ে বল নিয়ে উঠে সাবিনাকে দিয়ে ষষ্ঠ গোলটি করিয়েছেন তিনি।
৬ গোলের পর সিঙ্গাপুর গোলরক্ষকই বদলে ফেলে। কিন্তু আরও দুটি গোল হজম করতে হয়েছে বদলী গোলরক্ষককে। বাংলাশের হয়ে বদলী নামা সুমাইয়া, শামসুন্নাহারই করেছেন গোল দুটি।