Sunday, November 24, 2024
Homeবিনোদনলাইফস্টাইলশরীর খুব দুর্বল, যেসব খাবার শক্তিশালী করে তুলবে আপনাকে

শরীর খুব দুর্বল, যেসব খাবার শক্তিশালী করে তুলবে আপনাকে

স্বাস্থ্যসেবা প্রতিদিন:

 

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা, দুপুরে ভাত এবং রাতেও ভারি খাবার খেয়ে থাকেন। এভাবে সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন খাওয়ার পরও খুবই দুর্বল বোধ করেন অনেকে। তিন বেলা খেলেই যে শরীর শক্তিশালী হবে বিষয়টি তা নয়। শরীরের জন্য উপযোগী এবং বিষমুক্ত খাবার স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আর শক্তিশালী হওয়ার জন্য খাবারে প্রয়োজনীয় আমিষ, প্রোটিন, ভিটামিন সবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

মাছ-মাংস খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু খাবার রয়েছে, যা স্বাস্থ্য ও শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে থাকে। যেসব খাবার নিয়ম করে খাওয়ার ফলে শক্তিশালী করে তুলবে আপনাকে। এবার তাহলে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী শক্তিশালী করে তোলে এমন খাবার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

 

১. প্রসেসিং ফুড এড়িয়ে চলা : প্রসেসিং ফুড বা প্রক্রিয়াজাত করা খাবার সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে। চিজ বার্গার কিংবা ফ্রাই যখন খেয়ে থাকেন, তখন স্বস্তিদায়ক মনে হতে পারে। কিন্তু এসব খাবারে পুষ্টির মান খুব কম। প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন প্যাকেটজাত বা টিনজাত খাবার, বক্সযুক্ত খাবার, পূর্বে রান্না করে রাখা মাংস সাধারণত প্রিজারভেটিভ, অ্যাডিটিভ, সোডিয়াম, ট্রান্স ফ্যাট এবং কৃত্রিম উপাদানে পূর্ণ থাকে। যা শরীরকে ধীর করে দেয়।

 

২. সতেজ মৌসুমি ফল ও সবজি : খাদ্য তালিকায় সবসময় এমন কিছু খাবার রাখার চেষ্টা করবেন যাতে পুষ্টির পরিমাণ বেশি থাকবে। নিয়মিত মৌসুমি বিভিন্ন ফলমূল রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। চেষ্টা করতে হবে ফল যেন সতেজ থাকে এবং বিষমুক্ত থাকে। ঠিক একইভাবে সতেজ ও বিষমুক্ত সবজি রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।

 

৩. চর্বিহীন প্রোটিন : চর্বিযুক্ত লাল মাংস ডায়েটে স্যাচুরেটেড ফ্যাট যোগ করে। চিকেন, টার্কি এবং মাছের মতো চর্বিযুক্ত মাংস মানসম্পন্ন প্রোটিন সরবরাহ করে। তবে কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ যেমন স্যামন, টুনা এসব খেতে পারেন। এসব শরীরের জন্য উপকারী।

 

৪. শস্যদানা এবং কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট : প্রক্রিয়াজাত খাবারের মতো চিনি এবং সাদা ময়দা সামান্য পরিমাণে পুষ্টি যোগায়। তবে আপনাকে শস্যদানা এবং কমপ্লেক্স কার্বেবোহাইড্রেট বেছে নিতে হবে। যা আপনার খাদ্যে ফাইবার যোগ করে। বিভিন্ন শস্য যেমন চাল, ডাল, ভুট্টা, সয়াবিন, বিনস ও কড়াইশুঁটি থেকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়।

 

৫. বাদাম এবং বীজ : ক্লান্তি দূর করার জন্য এবং ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাদাম এবং বীজ সেরা খাবার। খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং বীজ রাখা স্বাস্থ্যকর। যা শরীরে পুষ্টি ও শক্তি প্রদান করতে পারে। কাজু বাদাম, হ্যাজেলনাট, পেকান, আখরোট, সূর্যমুখী বীজ ও কুমড়ার বীজ খেতে পারেন। প্রয়োজনে কাঁচা লবণহীন সংরক্ষণ করে খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

 

৬. পানি : শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হচ্ছে পানীয় পানি। পানি ক্যালোরি আকারে শক্তি সরবরাহ করে না, তবে এটি শরীরে শক্তিশালী প্রক্রিয়াগুলোকে সহজতর করতে সহায়তা করে। এছাড়া শরীর সুস্থ্ রাখতেও অপরিহার্য।

 

৭. ভিটামিন এবং সম্পূরক খাবার : প্রতিদিনের খাবার থেকে যদি প্রয়োজনীয় সব উপাদান না পান, তাহলে ভিটামিন গ্রহণের কথা বিবেচনা করতে পারেন। একজন পুষ্টিবিদ বা হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করলে পুষ্টিকর পরিপূরক খাদ্য তালিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

 

৮. কলা : কলা শরীরের জন্য কার্যকর অবদান রাখে। কলায় পটাসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যা প্রাকৃতিক শক্তির একটি বড় উৎস।

 

৯. ওটস : এটি শুধু সকালের নাশতার জন্য নয়। এক বাটি ওটসে ফাইবার ও সামান্য পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এটি খাওয়ার ফলে আপনাকে শক্তি প্রদান করে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments