সিলেটে নিজ দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীদের হাতে খুন হয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হাসান। সোমবার গভীর রাতে নগরের টিবি গেইট এলাকায় তাকে কুপিয়ে খুন করা হয়।
ছাত্রলীগকর্মী আরিফ আহমদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় নিহত আরিফের মা আখি বেগম বাদি হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ৩৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুকে। হত্যাকান্ডের পর পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
বিমানবন্দর থানার ওসি মঈন উদ্দিন সিপন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় নিহত আরিফের মা টিভিগেইট ছড়ারপাড় এলাকার ফটিক মিয়ার স্ত্রী আখি বেগম বাদি হয়ে থানায় ১০ জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেছেন।
সূত্র জানায়, মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ৩৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুকে। নিপুর নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। নিহত আরিফ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামের অনুসারী।
এদিকে, হত্যাকান্ডের পর পুলিশ হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের দুই কর্মীকে আটক করে। তারা হলেন- বালুচর সোনারবাংলা এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি (২১) ও বালুচরের কামাল মিয়ার ছেলে মামুন মজুমদার (২৮)। মামলার এজহারে ওই দুইজনের নামও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরিণ দ্বন্দ্বের জের ধরে গত সোমবার রাত ১২টার দিকে টিভিগেইট এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত দেড়টার দিকে মারা যান আরিফ।