জীবন যাপন:
পানীয় কিংবা সালাদে চমৎকার সুগন্ধ নিয়ে আসে পুদিনা। খাবারে সুগন্ধ যোগ করার পাশাপাশি পুষ্টিরও জোগান দেয় উপকারী এই ভেষজ। এছাড়া পুদিনার তেল মাথা ব্যথার মতো সমস্যা কমাতে কার্যকরী। ত্বকের যত্নেও নানাভাবে ব্যবহার করা যায় পুদিনা। জেনে নিন পুদিনার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
পুদিনায় এমন যৌগ রয়েছে যা প্রাণীদের জিআই ট্র্যাক্টের টিস্যুগুলোকে শিথিল করে। ফলে আপসেট স্টমাকের সমস্যা দূর হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে যে; গ্যাস, পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে পারে পুদিনা।
পিপারমিন্ট বা পুদিনার সক্রিয় উপাদান হলো মেন্থল। উপাদানটি মাইগ্রেনের মাথা ব্যথা কমাতে পারে। এটি অন্যান্য উপসর্গ যেমন হালকা সংবেদনশীলতা, বমি বমি ভাব এবং বমি কমাতে পারে।
পুদিনা পাতায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
পুদিনা কেবল নিঃশ্বাসকেই সতেজ করে না, পাশাপাশি এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখে থাকা জীবাণু দূর করতে পারে। দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি দেয় পুদিনা।
পেপারমিন্টের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ক্ষমতা সাধারণ সর্দি বা সংক্রামিত শ্লেষ্মার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। গলা খুসখুসে ভাব ও কাশির মতো সমস্যা প্রশমিত করতে পারে এক কাপ পুদিনা চা।
পুদিনার মেন্থল তাৎক্ষণিক এনার্জির জোগান দিতে পারে। ফলে ক্লান্ত লাগলে খান পুদিনা মিশ্রিত চা কিংবা পানীয়।
বিজ্ঞানীরা লিস্টেরিয়া এবং সালমোনেলার মতো ব্যাকটেরিয়ার উপর পেপারমিন্ট তেল পরীক্ষা করেছেন। তারা জানান, তেল প্রয়োগের পরে এগুলোর বৃদ্ধি বন্ধ হয়েছে। এসব ব্যাকটেরিয়া ত্বকের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস এবং আরও বেশ কিছু রোগের জন্য দায়ী।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, পুদিনা খেলে মানুষ কম ক্ষুধার্ত বোধ করে। ফলে ওজন কমানো সহজ হয়।
পুদিনায় রোম্যারিনিক অ্যাসিড নামে একটি যৌগ রয়েছে যা শরীরের হিস্টামিন প্রতিক্রিয়া কমাতে পারে। এতে হাঁচি এবং চুলকানির মতো অ্যালার্জির লক্ষণ কমে।
গরমে মাথা ব্যথা হলে কয়েকটা পুদিনা পাতা পানিতে ফুটিয়ে বাষ্প টেনে নিন। কমে যাবে মাথা ব্যথা।
পুদিনা পাতা পেস্ট করে ত্বকে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ হয়।