বুধবার রাতে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।
রিজভী বলেন, সিইসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাইরে কোনো কথা বলবেন না। সেটারই জলন্ত প্রমাণ দেখলো জাতি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবেন। তিনি জাতির সঙ্গে মশকরা করেছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তার নেতৃত্বে সরকার থাকবে, আর অবাধ নির্বাচন হবে- তা বিশ্বাস করা কঠিন ব্যাপার। সব ডাহা মিথ্যা ও ভন্ডামি। চরম ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি এই তফশিল।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেন। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সিইসি জানান, তিনশ আসনে এই ভোট অনুষ্ঠান সম্পন্নের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সিইসির ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসাররা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আগামী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ করা হবে ৭ জানুয়ারি রোববার।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন ভবনে (ইসি) তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাচন ভবনের ভেতরেও দর্শনার্থীদের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের আশপাশে সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ৮টা পর থেকে নির্বাচন ভবন এলাকার সামনে টহল দিচ্ছেন র্যাব সদস্যরা। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার প্রবেশপথে ব্যারিকেডও রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি।