ঋতুচক্রে আবারও চলে আসলো শীতকাল। ঘোরা, ফেরা, খাবার খাওয়ার স্বাধীনতা এই ঋতুর মতো অন্য কোনো সময়েই পাওয়া যায় না। তবে এমনটা আবার সবার জন্য না। অনেক মানুষ আছেন যারা শীতকালে ভীষণ ভয়ে থাকেন। এমনই একদল মানুষ হলেন যাদের শীতে হাত-পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যায়। এই সমস্যায় ভোগা মানুষ ঠান্ডার দিনে বেশ আতঙ্কেই থাকেন। কারণ হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেলে তাদের বেশ অস্বস্তি হয়।
কেন শীতে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়?
আসলে রক্তপ্রবাহই আমাদের শরীরকে গরম রাখে। এবার শীতকালে ঠান্ডার কারণে হাত এবং পায়ের রক্তনালী সংকুচিত হয়। ফলে শরীরের এই অংশে রক্তপ্রবাহ অনেকটাই কমে যায়। এই কারণে শরীরের এই অংশে ঠান্ডার অনুভূতি বেশি থাকে। তবে সবার এমনটা হয় না। কিছু কিছু মানুষ এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। বিশেষত, বয়সকালে এই সমস্যা বেশি হয়। তবে ছোট বয়সেও এই জটিলতা আসতে পারে। আর সমস্যা থাকলে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
হাত-পা গরম রাখার উপায় কী?
মোজা- গ্লাভস পরুন: শীতে যদি হাত-পা বেশি ঠান্ডা হয়ে যায়। তবে গ্লাভস, মোজা পরা উচিত। ভালো কাপড়ের গ্লাভস, মোজা পরুন। এই পোশাক আপনার হাত ও পা থেকে গরম বেরিয়ে যেতে দেব না।
তেল মাখুন: হাত-পায়ে সরিষার তেল মাখতে পারেন। ভালো করে মালিশ করবেন। এরফলে হাতে-পায়ে রক্তপ্রবাহ বাড়বে। গরম অনুভূতি মিলবে। বিশেষত, শীতের রাতে তেল মাখলে হাত-পা গরম হয়।
ব্যায়াম করুন: শরীরকে গরম রাখার ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো উপায় হল ব্যয়াম করা। দিনে নিজের মতো করে সময় বের করে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। দেখবেন আর ততটা ঠান্ডা লগাছে না। কারণ ব্যায়াম করলে সারা শরীরেই ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে।
হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন: সমস্যা খুব বেশি হলে অবশ্যই হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন। হিটিং প্যাড দিয়ে হাত-পায়ে সেক দিন। তবে রোজ এমনটা না করলেও চলবে। যেদিন সমস্যা বেশি মনে হবে সেদিনই হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন। দেখবেন আরাম মিলবে।
আয়রন যুক্ত খাবার খান: রক্তেরপ্রবাহ কম থাকার অন্যতম কারণ হল অ্যানিমিয়া। তাই রক্তরপ্রবাহ বাড়াতে আয়রন যুক্ত খাবার খান যেমন- শাক, সবজি, মাংস, মাছ ইত্যাদি।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন: ঠান্ডায় তৃষ্ণা কম হওয়া স্বাভাবিক। কিন্ত তাই বলে পানি পান করা কমানো যাবে না। দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। তবেই শরীর থাকবে হাইড্রেটেড।
এই উপায়গুলো ব্যবহার করার পরও যদি হাত-পায়ের তাপমাত্রা না বাড়ে তবে অবশ্যই চিকিৎসেকর পরামর্শ নিন।