স্পোর্টস ডেস্ক:
উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলা হওয়ায় আশা করা হয়ছিল এবারের বিশ্বকাপে ভালো করবে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রত্যাশার ফাঁকা বেলুন ওড়ালেন টাইগাররা। বিশ্বকাপের ১৩ আসরের ইতিহাসে সপ্তমবার অংশ নেওয়া বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র দুই ম্যাচে।
অথচ যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানিস্তান তৃতীয়বার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে পরাজিত করে। আফগানরা বিশ্বকাপের চর ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের দৌঁড়েই ছিল।
কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় সেমির স্বপ্ন ভেস্তে যায় আফগানদের। অথচ বাংলাদেশ আফগানিস্তান ও শ্রীলংকাকে হারিয়ে টেনে-টুনে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরি সুজনকে পদত্যাগ করার জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
আইনজীবীর পক্ষ থেকে পাঠানো নোটিশে বিসিবির শীর্ষ কর্তাদের বলা হয়েছে পুরো কোচিং স্টাফকেই যেন বাতিল করা হয়। এছাড়াও বিশ্বকাপ ব্যর্থতার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
অধিনায়ক হয়েও সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি সাকিব। ব্যাটে-বলে ব্যর্থ সাকিব। গ্রুপ পর্বের সাত ম্যাচে সাকিব মাত্র ১৮৬ রান করেছেন। বল হাতে শিকার করেন মাত্র ৯ উইকেট।
ফিটনেসের অজুহাতে দিয়ে বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়নি দেশ সেরা ওপেনার তামিমম ইকবালকে। অথচ সেই ফিটনেস সমস্যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারেননি সাকিব। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে খেলতে পারেননি ভারতের বিপক্ষে। আঙুলে চোটের কারণে খেলেননি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
দলীয় এবং ব্যক্তিগত বাজে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি শ্রীলংকা ম্যাচে দলটির সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুউসকে টাইমড আউট করে সমালোচনায় জর্জরিত সাকিব। এমন পরিস্থিতিতে আইনি নোটিশ পাওয়ার পর সাকিব কি অধিনায়কত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন?