বিশেষ প্রতিনিধি।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ। টানা দুবার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আজ তার স্থলাভিষিক্ত হবেন নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
চলতি বছরের ২১ জুন পঞ্চম সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯১টি ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম (বাবুল) পান ৫০ হাজার ৮৬২ ভোট।
বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভোট থেকে সরে আসেন আরিফুল হক। তার সমর্থকরা মনে করেন, এবারও নির্বাচন করলে আরিফ বিপুল ভোটে জয়ী হতেন।
দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে আসায় আরিফকে দলে মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাকে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে পদোন্নতি দিয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য করা হয়েছে। বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলে তিনি সিলেট-১ অথবা সিলেট-৪ আসন থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে গুঞ্জন চলছে।
সিলেটের রাজনীতিতে মেয়র আরিফ ক্লিন ইমেজের অধিকারী। তিনি রাজনৈতিক সম্প্রীতি বজায় রেখে দলমত নির্বিশেষে সবার সহায়তায় ১০ বছর সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা করেন।
সিলেট বিএনপিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানপন্থি হিসেবে পরিচিত আরিফ এক সময় এই সিটির কাউন্সিলর ছিলেন।
২০১৩ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলেন আরিফ।
তখন প্রতীক না থাকায় বিএনপি ও সমমনা দলের সমর্থিত হিসেবে প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন। এ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে পরাজিত করেন। আর এ জয়ের মধ্যদিয়ে সিলেটের ভোটের মাঠে চমক দেখান তিনি।
কিন্তু মেয়র নির্বাচিত হলেও আরিফুল হক চৌধুরীর ওপর সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলা থাকায় তিনি কারান্তরীণ হন। ফলে ২৭ মাস কারাভোগের পর তিনি মেয়রের চেয়ারে বসেন।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, ১০ বছরের শাসনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। এ কাজের মাধ্যমে সিলেট নগরের জলাবদ্ধতা দূর এবং সৌন্দর্য ফিরে এসেছে।