বিশেষ প্রতিনিধি;
জৈন্তাপুর – হর্নি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে ৯:৩০ মিনিটে এবং শেষ হবে ৪:০০ টায়। কিন্তু হার্নি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা বৃন্দ সম্পূর্ণ অনিয়ম ভাবে সকাল ১০:৩০ মিনিটে এসে স্কুলে পৌঁছান এবং সকাল ১১ টার দিকে ক্লাস শুরু করেন। আবার দুইটার আগে স্কুল ছুটি দিয়ে চলে যান। স্কুলে শিক্ষিকা বৃন্দ পাঁচজন, পাঁচজনের মধ্যে একজনও সকাল ১০ টার আগে স্কুলে আসেন না। স্কুলে লেখাপড়া না হওয়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ছেলে মেয়েদের’কে অন্য স্কুলে পাঠান। এমতাবস্থায় স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ জন হবে কিনা সন্দেহ আছে । শিক্ষিকা বৃন্দ স্কুলে এসে যার যার ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে ইন্টারনেট নিয়ে এবং স্কুল চলাকালীন স্কুলের আশে পাশের বাড়িতে গিয়ে পান সুপারি খেতে যায় শিক্ষিকাদের। ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রী বসে থাকেন লেখাপড়া হয় না। স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করলে স্বরবর্ণ কিংবা ব্যঞ্জনবর্ণ বলতে ও পারে না। এই অনিয়মের বিরুদ্ধে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি কিংবা গ্রামের কেউ কথাও বলে না। তার জন্য শিক্ষিকা বৃন্দ যার যার মতো চলাফেরা করে। এবং সরকারি নিয়ম অমান্য করে নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী স্কুল পরিচালনা করেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার ব্যাঘাত ঘটে এর দায়ভার কে নেবে। নিজ গ্রামে স্কুল থাকার পরেও অন্য গ্রামের স্কুলে ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করতে যায়।
শিক্ষা অফিসার সহ মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই পূর্বক সরকারি বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিন।