বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধের ২র্য় দিনে হবিগঞ্জে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করেনি। সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা হবিগঞ্জ-ধুলিয়াখাল বাইপাস সড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দেয়। এ ছাড়া বিকালে শায়েস্তানগর ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় অবরোধের চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
অপরদিকে বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশসহ প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে প্রায় ১০জন। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে পিকেটিং এর সময় উপজেলার চালিতাতলা পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন থেকে বিএনপি নেতা আব্দুল হাই শিবলু, রোকন মিয়া ও তাইজুল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। এ খবর বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সকাল ১১টার দিকে উপজেলার মিরপুর বাজারে নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে এবং হরতালের সমথর্নে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এসময় মিরপুর বাজারে এ ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে নেতাকর্মীদের মুক্তি ও অবরোধের সমর্থনে উপজেলার মিরপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বাজার প্রদক্ষিণ করে মহাসড়কের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ পিছন দিক থেকে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে পুলিশের সাথে যোগ দিলে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়ের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছুঁড়াছুঁড়ি করা হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় দেড় শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় বাহুবল মডেল থানার এস আই আশীষ তালুকদার ও ৪ পুলিশ সদস্য সহ আ.লীগ এবং বিএনপির প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।
এ বিষয়ে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মশিউর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় দেড় শতাধিক রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। সংঘর্ষে ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় কনস্টেবল শাহ আলমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া শহরে পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর টহল জোরদার ছিলো।