Friday, November 8, 2024
Homeঅপরাধসুনামগঞ্জ শাল্লায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঘুষ নাদিলে মঞ্জুর করেন না মেডিক্যাল ছুটি 

সুনামগঞ্জ শাল্লায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঘুষ নাদিলে মঞ্জুর করেন না মেডিক্যাল ছুটি 

 

বিশেষ প্রতিনিধি:

 

সুনামগঞ্জের শাল্লায় রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলা হতে সদ্য স্ট্যান্ড রিলিজ হয়ে আসা শাল্লা উপজেলা  প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩১ অক্টোবর(মঙ্গলবার) বেলা ১২ টায় একজন সহকারী শিক্ষিকার স্বামী তন্ময় দেব ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট  কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

 

 

জানাযায়, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামকে ঘুষ না দিলে শিক্ষকদের চিকিৎসা ছুটি মঞ্জুর করেন না। এবং  বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচির (স্লিপ) বরাদ্দ থেকেও ওই কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়। বিদ্যালয় প্রতি পাঁচ হাজার থেকে সাত হাজার  টাকা ঘুষ না দিলে তিনি  স্লিপের বিল অনুমোদন করেন না। স্কুলের কোনো শিক্ষক কোন অসুবিধার কারণে একদিন  বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে নানা রকম  ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে নগদ  অর্থ আদায় করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষক সহ অফিস স্টাফ দের সাথেও অশালীন আচরণ করেন তিনি। গত দুই থেকে তিন মাস আগে এক প্রধান শিক্ষক কে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেন পরে শিক্ষক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের চাপে পড়ে অব্যাহতি আদেশ তুলে নিতে বাধ্য হন তিনি।

 

 

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষিকার সাথে আলাপ করে জানা যায় আমি বিগত ১৫/২০ দিনের মত অসুস্থ হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ বিশ্রামে ছিলাম। পরে সুস্থ্য হয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়ে স্কুলে যোগদান করার পর জানতে পারলাম আমার বেতন ও পূজার বোনাস বন্ধ। পরে সালাম স্যারের সাথে যোগাযোগ করলে স্যার বলেন আপনার বেতন বোনাস ছেড়ে দিবো যদি আপনি আমাকে ২৫০০০ হাজার টাকা দেন। না হয় আমার করার কিছু নেই জবাবে ওই শিক্ষিকা  জানান স্যার আমার এতো টাকা নেই তাছাড়া আমার চিকিৎসার জন্য  অনেক টাকা ঋণ করেছি দয়া করে আমার বেতন বোনাস ছেড়ে দিন। তখন স্যার বলেন এই ভাবে হবে না তাহলে আরেকটা শর্তে আপনার বেতন ছেড়ে দিবো আপনার ১ পাতা চেক দেন আমি চেক দিয়ে আমার পরিচিত সুদের কারবারি উজ্জ্বল মিয়ার কাছ থেকে ২৫০০০ টাকা সুদে নিয়ে  নিবো। বেতন হলে  উজ্জ্বল মিয়া ব্যাংক থেকে টাকা তুলে  ৩০০০ হাজার টাকা লাভ সহ মোট ২৮০০০ টাকা রেখে বাকি টাকা আপনাকে ফেরত দিয়ে দিবে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে আমার বেতন রেগুলার করার জন্য সালাম স্যার কে ১ পাতা চেক  দিতে বাধ্য হলাম।

 

 

এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করার সত্বেও উনি ফোন তুলেননি।

 

 

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, উক্ত বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছি। তারা তদন্ত করবে। তদন্ত করার পরে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments