Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the td-cloud-library domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/sylheterkagoj/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
সিলেটে মাদরাসার অধ্যক্ষকে হত্যার দায়ে এক আসামির মৃ ত্যু দ ণ্ড - Sylheter Kagoj : সিলেটের কাগজ |
Friday, April 18, 2025
Homeসিলেট বিভাগসিলেটসিলেটে মাদরাসার অধ্যক্ষকে হত্যার দায়ে এক আসামির মৃ ত্যু দ ণ্ড

সিলেটে মাদরাসার অধ্যক্ষকে হত্যার দায়ে এক আসামির মৃ ত্যু দ ণ্ড

সিলেটের ওসমানীনগরে আলোচিত মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শায়েখুল ইসলাম হত্যা মামলায় লুৎফুর রহমান (৪৬) নামে আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার(৩০অক্টোবর)সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান চৌধুরী উভয় রায় ঘোষণা করেন। অত্র আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লুৎফুর রহমান সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ফরিদপুর গ্রামের মৃত তাহির আলীর ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা শায়েখুল ইসলাম। তিনি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তীলপাড়া শেখ ফজিলতুন্নেছা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। দন্ডিত লুৎফুর রহমানও একই মাদরাসার বাংলাবিভাগের প্রভাষক ছিলেন। ২০২৫ সালে কর্তব্য অবহেলা, অসদাচরণ ও ঔদ্বত্যপূর্ণ আচরণের জন্য আইনী পদক্ষেপ নেন অধ্যক্ষ মাওলানা শায়খুল ইসলাম। উপরন্তু অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সিলেটের বালাগঞ্জ সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা (নং-২২/২০১৫) দায়ের করেন প্রভাষক লুৎফুর রহমান। এক পর্যায়ে অসদাচরণ না করার অঙ্গীকার করে ফের চাকরীতে যোগ দেন লুৎফুর। কিন্তু তার আচরণের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। বিষয়টি মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদকে জানান অধ্যক্ষ। এরপর ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সামনে অধ্যক্ষের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার হুমকি দেন লুৎফুর।

ঘটনার ২ দিনের মাথায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাওলানা শায়েখুল ইসলাম ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার বাসা থেকে মাদরাসায় রওয়ানা হন। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উপজেলার বুরুঙ্গা নিজে প্রাইভেট কার (নং-সিলেট-খ-১১-০০৫৪)চালিয়ে সঙ্গীয়দের নিয়ে শায়েখুল ইসলামের মোটরসাইকেলে সজোরে ধাক্কা দিয়ে হত্যা করেন। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুত যাওয়ার সময় প্রাইভেট কারটি উল্টে যায়। সেসময় সঙ্গীয়রা পালিয়ে গেলেও লুৎফুর রহমানকে আটক করে জনতা পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী দিলবাহার তালুকদার লিপি বাদি হয়ে ওসমানীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলাম তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (নং-০৪/২০২০) দাখিল করেন। ওপর আসামি আহমদ আলী হেলালীকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

মামলাটি অত্র আদালতে বিচারের জন্য দায়রা ৩৫৩/২২ মূলে বিচারের জন্য রেকর্ড করা হয়। একই বছরের ১১ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ শোনানীতে ৪৭ সাক্ষির মধ্যে ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments